ওয়ানডেতে তাও একটা ম্যাচে একটু লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। ক্ষণিকের জন্য হলেও জাগিয়েছিল আশা। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে তারা একেবারেই পারেনি। নিয়মিত খেলোয়াড়দের বেশ কয়েকজনকে ছাড়া খেলতে নেমে নিউ জিল্যান্ড তিন ম্যাচেই উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে।
খর্বশক্তির দলের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশড হওয়াটা মানতে পারছেন না মাহমুদউল্লাহ। ভেবে পাচ্ছেন না ১০ ওভারের ম্যাচে স্রেফ ৭৬ রানে অলআউট হওয়া থেকে কি প্রাপ্তি থাকতে পারে তাদের।
ঊরুর চোটের জন্য বৃহস্পতিবারের এই ম্যাচে খেলেননি নিয়মিত অধিনায়ক। তার জায়গায় দলকে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস। তবে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। মাঠের বাইরে থেকে ১০ ওভারের ম্যাচে দলের ৬৫ রানে হার দেখার পর জানালেন হতাশার কথা, হিসেব মেলাতে না পারার কথা।
“৭৬ রানে অলআউট হয়ে গেলে সেখান থেকে আসলে কিছু নেওয়ার থাকে না। পুরো সিরিজেই আমরা নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে পারিনি। আমরা আগেই এসেছিলাম, নিজেদের প্রস্তুতও করেছিলাম। কুইন্সটাউনে ভালো একটা ক্যাম্প করেছি। ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। অনুশীলনে অনেক পরিশ্রম করেছি, কিন্তু মাঠে সেটা দেখাতে পারিনি।”
“টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে এটা খুব হতাশজনক। আমাদের এখান থেকে কিছু একটা বের করতে হবে। যেটার উপর দাঁড়িয়ে আমরা পরের সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নেবো। সম্ভবত আমরা এই সিরিজটা ভুলে যেতে চাইব। আমরা এখানে এসেছিলাম কিছু একটা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে। এবার লড়াইয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলাম, কিন্তু সেটা আমরা মাঠে করে দেখাতে পারিনি।”
সফরের শুরুতে রেকর্ড ছিল ২৬-০, টানা ছয় হারে সেটা হয়ে গেল ৩২-০। মাহমুদউল্লাহ মনে করেন, হারের চক্র ভাঙতে একই সঙ্গে সব বিভাগে নিজেদের সেরাটা দেখানোর দরকার ছিল। সেখানে প্রতি ম্যাচেই সফরকারীরা ছিল ফিল্ডিংয়ে ব্যর্থ, হাতছাড়া করেছে অসংখ্য সুযোগ।
“অনেক বছর ধরে এখানে খেলছি, কিন্তু (নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে) কোনো ম্যাচ জেতা হয়নি। আমরা জানতাম, এটা কঠিন হবে। নিউ জিল্যান্ডে কিউইদের বিপক্ষে খেলা কঠিন। সম্প্রতি ওরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে। আমরা জানতাম, উড়ন্ত নিউ জিল্যান্ডকে হারাতে হলে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই আমাদের সেরাটা দিতে হবে। আমরা সেটা পারিনি।”