প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫১ রান করেও ইনিংস ও ৯ রানে জিতেছে রাজশাহী। প্রথম ইনিংসে ৮২ রান করা বরিশাল এবার গুটিয়ে গেছে কেবল ৬০ রানে। এই ম্যাচের আগে দলটির সর্বনিম্ন ছিল ৮৭, ২০০৭ সালে রাজশাহীর বিপক্ষেই।
দুই ইনিংস মিলিয়ে বরিশালের রান ১৪২। বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির কোনো ম্যাচে এটাই সর্বনিম্ন। আগের রেকর্ড ছিল বিসিবি অ্যাকাডেমি দলের। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৬৭ রান করেছিল তারা। আর দেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতায় সর্বনিম্ন ছিল চট্টগ্রামে ১৮০। ২০১১ সালে জাতীয় লিগেই রাজশাহীর বিপক্ষে ৭২ ও ১০৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দলটি।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে মঙ্গলবার ১ উইকেটে ২৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা বরিশালের ইনিংস টেকে কেবল ৩৪ ওভার।
দিনের শুরুটা ভালোই ছিল দলটির। নাইটওয়াচম্যান কামরুল ইসলাম রাব্বিকে নিয়ে সাবধানী শুরু করেন মইনুল ইসলাম। ১৪ রান করা রাব্বিকে ফিরিয়ে শিকার ধরেন সানজামুল।
মইনুলের ব্যাটে এগিয়ে যেতে থাকে বরিশাল। কিন্তু সানজামুলের বাড়তি লাফানো বলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৩ চারে এই ওপেনার করেন ২৮।
এরপরই পাল্টে যায় খেলার চিত্র। সানজামুল ও তাইজুলের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৭ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে বরিশাল। দলটির ৯ ব্যাটসম্যান যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
সঙ্গে গড়লেন সবচেয়ে কম রানে ১০ উইকেটের রেকর্ড। ছাড়িয়ে গেলেন ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৬৫ রানে ১৩ উইকেট নেওয়া পেসার রুয়েল মিয়াকে।
তাইজুল ২৩ রানে নেন ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসে টেস্ট দলের এই স্পিনার ৩৯ রানে নিয়েছিলেন ৪টি। দুই ইনিংসেই দারুণ বোলিং আর ১০ নম্বরে নেমে ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।
দ্বিতীয় স্তরে এটা রাজশাহীর প্রথম জয়। আগের ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে হেরেছিল তারা। অন্যদিকে, বরিশাল হারল টানা দুই ম্যাচে। ঢাকার বিপক্ষে হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৮২
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ১৫১
বরিশাল ২য় ইনিংস: (আগের দিন ২৩/১) ৩৪ ওভারে ৬০ (মইনুল ২৮, রাব্বি ১৪, মাহমুদ ১৪, সালমান ৪, মইন ২, সোহাগ ০, শামসুল ১, আবু সায়েম ০, তানভির ০, মনির ০*; মোহর ৫-০-১৪-০, সানজামুল ১৩-৭-১৫-৬, তাইজুল ১২-৬-২৩-৪, হৃদয় ১-০-৪-০, মুক্তার ৩-২-১-০)
ফল: রাজশাহী ইনিংস ও ৯ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: তাইজুল ইসলাম