‘ক্যাচ মিস হয়ই, তবে মাঝেমধ্যে তা খুব কষ্ট দেয়’

ব্যাটসম্যানরা লড়ার মতো রান এনে দিয়েছে। বোলাররা লড়াই করেছে। তবু ধরা দেয়নি জয়। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পরপর দুটি সহজ ক্যাচ ছাড়লে তো আর ম্যাচ জেতা যায় না। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক তামিম ইকবালের কণ্ঠে হাহাকার সতীর্থদের ক্যাচ ছাড়ার হতাশায়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2021, 11:09 AM
Updated : 23 March 2021, 03:04 PM

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্রাইস্টচার্চে মঙ্গলবার ক্যাচ ছাড়ার খেসারত দিয়ে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের বলে ৩ রানে জিমি নিশামের সহজ ক্যাচ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। পরের ওভারে অফ স্পিনার মেহেদি নিজের বলে ছাড়েন টম ল্যাথামের ক্যাচ।

৫৮ রানে জীবন পেয়ে ল্যাথাম অপরাজিত ১১০ রানের ইনিংস খেলে দলকে জেতান। নিশামের সঙ্গে তার ৭২ বলে ৭৬ রানের জুটি নিউ জিল্যান্ডকে এগিয়ে নেয় জয়ের কাছে।

এই জুটির আগে অধিনায়ক তামিমের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়েই উজ্জ্বল হয়েছিল বাংলাদেশের জয়ের আশা। ৭২ রান করা ডেভন কনওয়েকে সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট করেন তামিম। তখনও কিউইদের প্রয়োজন ১০৬ রান। এই জুটি থামার এক ওভার পরই ওই দুটি সুযোগ এসেছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। এছাড়াও আরও অন্তত তিনটি ‘হাফ চান্স’ কাজে লাগাতে পারেনি দল।

নিউ জিল্যান্ডকে বাগে পেয়েও হারাতে না পারার হতাশা ম্যাচ শেষে স্পষ্ট ফুটে উঠল তামিমের কণ্ঠে।

“ ম্যাচটি জেতা উচিত ছিল আমাদের। বোলাররা সুযোগ সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু ক্যাচ মিসগুলি… এই ধরনের কন্ডিশনে আমরা খুব কম জয়ের সুযোগ পাই। তাই সুযোগ যখন সৃষ্টি হয়, আমাদের নিশ্চিত করা উচিত যেন সবকিছু শতভাগ ঠিক করতে পারি। আজকে খুবই হতাশ আমরা। সুযোগগুলো নিতে পারিনি।”

অধিনায়ক হিসেবে সতীর্থদের পাশে দাঁড়াতেই হয়। তামিম তা করছেন। তবে ভেতরের যন্ত্রণাও তিনি তুলে ধরলেন।

“ ক্যাচ মিস হয়ই। ক্রিকেট খেলায় ক্যাচ মিস হয়ই। তবে কখনও কখনও এটা খুব কষ্টদায়ক। আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম। ওই দুটি সুযোগ নিতে পারলে খেলা জমে যেত। তবে অভিযোগ নেই। কেউ ইচ্ছা করে ক্যাচ ছাড়ে না। সবার ক্ষেত্রেই এটা হয়। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন সুযোগ এলে কাজে লাগাতে পারি।”