নির্বাচকদের সঙ্গে দ্বিমতের কথা স্বীকার করলেন বাবর

আফ্রিকা সফরের দল দেওয়ার পর থেকে পাকিস্তান ক্রিকেটের আলোচনার কেন্দ্রে প্রধান নির্বাচক মোহাম্মদ ওয়াসিমের সঙ্গে অধিনায়ক বাবর আজমের মত পার্থক্য। শারজিল খানের ফিটনেস প্রসঙ্গ ধরে বাবর স্বীকার করলেন সত্যতা। একই সঙ্গে দল নির্বাচন নিয়ে ভেতরের কথা বাইরে আসায় বিরক্তিও প্রকাশ করলেন তিনি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2021, 05:02 PM
Updated : 19 March 2021, 05:02 PM

মত পার্থক্যের কেন্দ্রে আছে ফিটনেস। কদিন আগে ওয়াসিম অভিযোগ করেন, ফিটনেসের বেধে দেওয়া ন্যূনতম মানদণ্ডে পরিবর্তন আনছে পাকিস্তান। স্কিলে এগিয়ে থাকা ক্রিকেটারদের জায়গা করে দিতে কিছুটা শিথিল করা হয়েছে।

বাবর মনে করেন, দলের সঙ্গে রেখেই কারো ফিটনেসের উন্নতি করা সম্ভব। শারজিলের ক্ষেত্রেও সেই ভাবনাই কাজ করেছে তার মধ্যে। 

“সে রাতারাতি শাদাব (খান) হয়ে যাবে না কিন্তু তবুও তাকে দলের সঙ্গে রাখতে হবে। আমি স্বীকার করছি, তার ফিটনেস খুব একটা ভালো নয়। তবে তাকে যথাযথ মানে আমরা নিয়ে আসব। এই মুহূর্তে সে যে ছন্দে আছে তা আমাদের সহায়তা করতে পারে।”

২০১৭ পিএসএল স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নিজের ভূমিকার জন্য ২৪ মাস নিষিদ্ধ ছিলেন শারজিল। এবারের আসরে পারফরম্যান্সেই মূলত জাতীয় দলে ফিরতে পেরেছেন তিনি। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবরের চেয়ে পিছিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। নজর কেড়েছেন ১৭০.৯৪ স্ট্রাইক রেটে রান করে। তার ফিটনেস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের উপযোগী নয় এমনটা মনে করেন না বাবর।

“সে সেরা ওপেনারদের একজন। আমি করাচি কিংসে তার সঙ্গে খেলেছি। সে চাপ সরিয়ে নিতে পারে এবং পুরো খেলাটাই পাল্টে দিতে পারে। আমরা তার ফিটনেস নিয়ে কাজ করছি। কিছু দিন পরেই পার্থক্যটা চোখে পড়বে। আমি তাকে কখনও ওয়ানডেতে চাইবো না। টি-টোয়েন্টিতে চেয়েছি, এটা সংক্ষিপ্ত সংস্করণ, এখানে মানিয়ে নেওয়া যায়।”  

দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সফরের দল দেওয়ার পর থেকে ভেতরের অনেক কথাই চলে এসেছে বাইরে। অধিনায়কের চাওয়া, কথাগুলো থাকুক নিজেদের ভেতরেই।

“আমি মনে করি, এই বিষয়গুলো মিটিং রুমেই থাকা ভালো। যখন বিতর্ক হয়, তা দলের ভালোর জন্যই। আমরা যখন কথা বলি, একমত ও দ্বিমত হওয়া স্বাভাবিক।”

“এটা আমার দল নয়, আমাদের দল। আমি নির্বাচন প্রটোকল বুঝি, আমার ভূমিকা হচ্ছে সম্ভাব্য সেরা একাদশকে খেলানো এবং আমাদের যে খেলোয়াড় আছে তাদের কাজে লাগানো।”

আফ্রিকা সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও চারটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলবে তিনটি টি-টোয়েন্টির সঙ্গে দুটি টেস্ট।

সাদা বলের স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়রা জোহানেসবার্গের উদ্দেশে দেশ ছাড়বেন আগামী ২৬ মার্চ। টেস্ট দলে থাকা খেলোয়াড়রা যাবেন পরে।