রোহিতের পরামর্শ, জাতীয় পতাকা ও ‘নার্ভাস’ কিষানের ঝড়

অভিষেক ম্যাচে দুরুদুরু বুক। যদিও মাথায় গেঁথে ছিল রোহিত শর্মার পরামর্শ, তবু ইশান কিষানের মনে ছিল ভয়। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ বলে কথা! কিন্তু যখন তার চোখে ভেসে উঠল জাতীয় পতাকা, যখন অনুভব করলেন জাতীয় দলে জার্সির রোমাঞ্চকর ছোঁয়া, বদলে গেল তখন মনোজগতও। ঝড়ো ইনিংস খেলে তিনিই হয়ে উঠলেন দলের জয়ের নায়ক।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2021, 08:09 AM
Updated : 15 March 2021, 11:56 AM

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি রোববার ভারতের ৭ উইকেটের জয়ে ম্যান অব দা ম্যাচ হন কিষান। ২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ইনিংস শুরু করতে নেমে খেলেন ৩২ বলে ৫৬ রানের ইনিংস।

ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ফিফটি ছিল এর আগে কেবল অজিঙ্কা রাহানের, ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ২০১১ সালে ৬১।

১৬৪ রানের পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের শুরুটা ছিল দারুণ। প্রথম ওভার ছিল উইকেট মেডেন, স্যাম কারান ফিরিয়ে দেন লোকেশ রাহুলকে। কিন্তু কিষানের ব্যাটিংয়ে দ্রুতই এলোমেলো হয়ে যায় ইংলিশ বোলিং।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বলটিই বাউন্ডারিতে পাঠান কিষান। ২৮ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। তবে ম্যাচের পর জানালেন, শুরুতে কিছুটা নার্ভাস ছিলেন তিনি।

“ ভারতের হয়ে খেলা অবশ্যই চাপ নয়। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা ও এই নীল জার্সি গায়ে দিতে পারা বড় সম্মান ও গর্বের। ম্যাচের আগে আমাকে বলা হয়েছিল, বাড়তি চাপ না নিতে, আইপিএলের মতোই খেলতে। তবে প্রথম ম্যাচ যেহেতু, মাঠে নামার সময় একটু নার্ভাস ছিলাম।”

“ তবে দিনশেষে, যখন জাতীয় পতাকাটা দেখি, গায়ে যখন জাতীয় দলের জার্সি, চাপ তখন এমনিতেই সরে যায়, সর্বোচ্চটা উজার করে দেওয়াই তখন চাওয়া থাকে।”

গত আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অসাধারণ পারফর্ম করেই জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেন কিষান। তার আইপিএল অধিনায়ক রোহিত শর্মা এই ম্যাচে ছিলেন বিশ্রামে। তবে ড্রেসিং রুমে থেকে তিনিই কিষানকে ভরসা জোগান ম্যাচের আগে।

“ ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে অনেকেই থাকেন, সাফল্য পেতে যারা সাহায্য করেন নানা ক্ষেত্রে। রোহিত ভাই ম্যাচের আগে আমাকে বলেছিলেন, ওপেন করতে হবে, আইপিএলের মতোই মুক্তভাবে যেন খেলি। ভাবনা যেন পরিষ্কার থাকে।”

ভারতের জয়ের পথে অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে ৫৬ বলে ৯৪ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন কিষান। প্রথম ম্যাচেই কিংবদন্তির সঙ্গে উইকেটে এতটা সময় থাকতে পেরে তরুণ এই বাঁহাতি ছিলেন উচ্ছ্বসিত।

“ আমার জন্য এটি গর্বের মুহূর্ত ছিল। তাকে আগে টিভিতে দেখেছি, মাঠে তার মানসিকতা দেখেছি। তবে উইকেটে আরেকপ্রান্ত থেকে দেখাটা ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। আমার নিজের মধ্যেও এখানে পরিবর্তন আনতে পারি। তার প্রাণশক্তি, মাঠে তার উপস্থিতি, তার কাছ থেকে শেখার অনেক কিছু আছে।”

“ মাঠে সে যেভাবে কথা বলে, চাপ তাতে অনেকটাই সরে যায়। আমি স্রেফ নিশ্চিত করতে চাই যেন এই সিরিজে তার কাছ থেকে যতটা সম্ভব শিখতে পারি।”