বিপিএলের সপ্তম আসর শেষ হয়েছে গত বছরের জানুয়ারিতে। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে জটিলতায় সেবার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ বিপিএল করেছিল বিসিবি। এরপর করোনাভাইরাসের প্রকোপে পড়া বিরতি শেষে গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ আয়োজন করা হলেও বিপিএল আর করা যায়নি।
এই বছর আর বিপিএল করার সম্ভাবনা নেই, রোববার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইঙ্গিত দিলেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
“ বিপিএল হচ্ছে কী হচ্ছে না, সেটা আমরা আমাদের সূচি দেখে বলতে পারব। দুটি উইন্ডো খোলা আছে। একটা নভেম্বরে। ওই সময়ে আবার পাকিস্তানে যাওয়ার কথা আছে (আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচিতে আছে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর)। আবার ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ড আসার কথা খুব সম্ভবত (আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচিতে আছে বাংলাদেশের নিউ জিল্যান্ড সফর)। সেক্ষেত্রে বিপিএল পিছিয়ে জানুয়ারিতে হতে পারে।”
সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সূচির একটি খসড়া করেছে বিসিবি। ঘরোয়া ক্রিকেটে বিভিন্ন আসর জাতীয় ক্রিকেটারদের ছাড়া আয়োজন করা সম্ভব হলেও বিপিএলে জাতীয় ক্রিকেটারদের চায় বিসিবি, জানালেন এই বোর্ড পরিচালক।
“ দেখুন ক্যালেন্ডার মিটিংয়ে আমরা ৫ বছরের জন্য ক্যালেন্ডার ঠিক করছি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের যে পরিমাণে ব্যস্ত সফর ও সিরিজ আছে, ভবিষ্যতে অনেক সময়ই জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা এনসিএল, বিসিএল বা ঢাকা লিগে অংশ নিতে পারবে না। আমরা চেষ্টা করব বিপিএলে যেন জাতীয় দলের সব ক্রিকেটার আছে। এটা মাথায় রেখে করা হচ্ছে।”