আহমেদাবাদে শুক্রবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ১২৫ রানের লক্ষ্যে সফরকারীরা পৌঁছে গেছে ২৭ বল বাকি রেখেই।
স্বাগতিকদের ১৩০ রানের নিচে আটকে রাখার পেছনে বড় অবদান আর্চারের। ডানহাতি এই পেসার ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। আদিল রশিদের প্রাপ্তি বিরাট কোহলির উইকেট। ভারত অধিনায়ককে শূন্য রানে ফেরান ইংলিশ লেগ স্পিনার। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন উড।
রান তাড়ায় দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন জেসন রয় ও জস বাটলার। দুইজনের ব্যাটে উদ্বোধনী জুটিতে ইংল্যান্ড পায় ৭২ রান। বাটলার করেন ২৮ রান, রয় আউট হন ৪৯ রানে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। দলের খাতায় ৩ রান যোগ হতেই তারা হারিয়ে ফেলে লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলিকে।
জফ্রা আর্চারের বলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হন রাহুল। ভারত অধিনায়ক শূন্য রানে ফেরেন আদিল রশিদের বলে। ইংলিশ লেগ স্পিনারের বল ইনসাইড আউট শটে ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি মিড অফে।
মন্থর শুরু করা শিখর ধাওয়ানকে বোল্ড করে দেন উড। প্রথম ৬ ওভারে ভারত তোলে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২ রান। টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে এটা তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
বিপদে পড়া দলের হাল ধরেন রিশাভ পান্ত ও আইয়ার। কিন্তু আর্চারকে পরপর দুই বলে ছক্কা-চার হাঁকানো পান্ত বড় করতে পারেননি ইনিংস। ২৩ বলে ২১ করে বেন স্টোকসের বলে ক্যাচ দেন ডিপ স্কয়ার লেগে।
প্রতিরোধ গড়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া ও শ্রেয়াস। তাদের দুইজনের ব্যাটে ইনিংসের একমাত্র পঞ্চাশ ছাড়ানো জুটি পায় ভারত। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৬ বলে ফিফটি করেন শ্রেয়াস।
পান্ডিয়া পারেননি প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে। তাকে থামানোর পর শার্দুল ঠাকুরকেও ফেরান আর্চার। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৪৮ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৬৭ রান করেন শ্রেয়াস।
রান তাড়ায় ইংল্যান্ডকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জেসন রয় ও জস বাটলার। পাওয়ার প্লেতে তারা তোলেন ৫০ রান।
অষ্টম ওভারে এসে প্রথম সাফল্য পায় ভারত। যুজবেন্দ্র চেহেল এলবিডব্লিউ করে দেন বাটলারকে। ২৪ বলে ২৮ রান করে ফেরেন ইংলিশ কিপার ব্যাটসম্যান। ওই ওভারের শুরুতে পরপর দুই বলে চার ও ছক্কা মারেন রয়।
দাভিদ মালানকে নিয়ে লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকেন রয়। কিন্তু ওয়াশিংটন সুন্দরের বলে এলবিডব্লিউ হলে শেষ হয় বিধ্বংসী এই ওপেনারের ইনিংস। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩২ বলে তিনি করেন ৪৯ রান।
পরে বেয়ারস্টোকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মালান। ২ চার ও এক ছক্কায় ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মালান। বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ২০ ওভারে ১২৪/৭ (ধাওয়ান ৪, রাহুল ১, কোহলি ০, পান্ত ২১, আইয়ার ৬৭, হার্দিক ১৯, শার্দুল ০, সুন্দর ৩*, আকসার ৭*; রশিদ ৩-০-১৪-১, আর্চার ৪-১-২৩-৩, উড ৪-০-২০-১, জর্দান ৪-০-২৭-১, স্টোকস ৩-০-২৫-১, কারান ২-০-১৫-০)।
ইংল্যান্ড: ১৫.৩ ওভারে ১৩০/২ (রয় ৪৯, বাটলার ২৮, মালান ২৪*, বেয়ারস্টো ২৬*; আকসার ৩-০-২৪-০, ভুবনেশ্বর ২-০-১৫-০, চেহেল ৪-০-৪৪-১, শার্দুল ২-০-১৬-০, পান্ডিয়া ২-০-১৩-০, সুন্দর ২.৩-০-১৮-১)।
ফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেট জয়ী।
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড ১-০ তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: জফ্রা আর্চার