নিউ জিল্যান্ডে স্পিনারদের বড় ভূমিকা দেখছেন ভেটোরি

কাগজে-কলমে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেটোরি। বাস্তবে অদৃশ্য! অবস্থা অনেকটা এরকমই ছিল। এমনিতেই তার সঙ্গে চুক্তি ছিল ১০০ দিনের, এর মধ্যে হানা দেয় কোভিড মহামারী। চড়া মূল্যে পাওয়া স্পিন কোচ হয়ে উঠেছিলেন যেন অমাবশ্যার চাঁদ। অবশেষে তার সংস্পর্শ পেল দল। কুইন্সটাউনে ক্যাম্পের প্রথম দিনে ভেটোরি শোনালেন স্পিনারদের নিয়ে আশার কথা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2021, 01:03 PM
Updated : 11 March 2021, 01:03 PM

ভেটোরির সঙ্গে বিসিবির চুক্তির মেয়াদ এমনিতে শেষ বেশ আগেই। তবে ১০০ দিনের কাজ শেষ হয়নি কোভিডের কারণে খেলা বন্ধ থাকায়।

অবশ্য তার দায়িত্ব নিয়ে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি বারবার উঠেছে এখানেই। ভেটোরির মতো একজন গ্রেটকে স্রেফ সিরিজের সময় দলের সঙ্গে রেখে লাভ কি? খেলার ব্যস্ততার সময় তো স্পিনারদের নিয়ে আলাদা করে কাজ করার সুযোগ নেই, যে সুযোগ থাকে অনুশীলন ক্যাম্পে।

এবার অবশ্য সিরিজের আগে হলেও কিছুটা নিবিড় কাজ করার সুযোগ মিলছে। ৫ দিনের ক্যাম্পে যোগ দিতে আগেই কুইন্সটাউনে চলে গিয়েছিলেন ভেটোরি। দল পৌঁছেছে বুধবার। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে ক্যাম্প। দীর্ঘ বিরতির পর আবার মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মেহেদি হাসানদের নিয়ে কাজ করতে পেরেছেন স্পিন কোচ।  

নিউ জিল্যান্ডের কথা ভাবলেই অবশ্য চোখে ভাসে পেস বোলারদের ছবি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ব্যাটিং ঝড়ের ঝাপটাও লাগে মনে। তবে অন্য ছবিটাও এখন স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।

কুইন্সটাউনে নয়নাভিরাম জন ডেভিস ওভালে প্রথম দিনের অনুশীলনে বাংলাদেশ দল।

সদ্য সমাপ্ত নিউ জিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দা সিরিজ ছিলেন কিউই লেগ স্পিনার ইশ সোধি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ উইকেট ছিল অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার অ্যাশটন অ্যাগারের। এছাড়াও বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনার, এমনতি অনিয়মিত স্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের স্পিনও ছিল বেশ কার্যকর।

এই উদাহরণগুলো তুলে ধরেই বাংলাদেশের স্পিনারদের জন্য আশার আলো দেখালেন ভেটোরি।

“আমার মনে হয়, স্পিন এখানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। মিচ স্যান্টনার ও ইশ সোধি সাম্প্রতিক সিরিজগুলোয় কত সাফল্য পেয়েছে দেখুন। এমনকি অ্যাশটন অ্যাগার ও অ্যাডাম জ্যাম্পাও ভালো ভূমিকা রেখেছে। সবাই জানে, সাদা বলের সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ অংশ স্পিন।”

“বিশেষ করে মিরাজ, তার যে অভিজ্ঞতা ও সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে যতটা সাফল্য পেয়েছে, আমার মনে হয় সে দলকে অনেক কিছু দিতে পারে। তাকে সঙ্গ দিতে মেহেদি, নাসুমরা আছে। ওরাও দলে জায়গা করে নিতে পারে এবং পারফরম্যান্স দিয়ে অবদান রাখতে পারে।”

নিউ জিল্যান্ডে পৌঁছার পর এ দিনই প্রথম দলগত অনুশীলনের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। পাহাড়ের কোলে ও বিমানবন্দর ঘেঁষা নয়নাভিরাম ভেন্যু জন ডেভিস ওভালে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং ঝালিয়ে নেন ক্রিকেটাররা।