জাতীয় লিগে যথারীতি চ্যালেঞ্জিং উইকেটের আশা

ঘরোয়া ক্রিকেট মৌসুম শুরুর আগে বরাবরই জোরেসোরে শোনা যায় উইকেট নিয়ে আলোচনা। বিশেষ করে বড় দৈর্ঘ্যের টুর্নামেন্ট জাতীয় লিগ (এনসিএল) বা বিসিএলের আগে। এবারও জাতীয় লিগ দুয়ারে কড়া নাড়তে শুরু করায় উঠে এলো একই প্রসঙ্গ। যথারীতি সেই পুরনো সেই আশাবাদও ফিরে এলো। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের আশা, এবার চ্যালেঞ্জিং উইকেট মিলবে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2021, 11:23 AM
Updated : 11 March 2021, 11:24 AM

মিনহাজুলের আশার জোরালো একটি ভিত্তি অবশ্য আছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ বছর পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ঘরোয়া ক্রিকেট। উইকেট পরিচর্যার জন্য মিলেছে যথেষ্ট সময়। এবারের জাতীয় লিগে প্রত্যাশিত উইকেট না পাওয়ার কোনো কারণ দেখেন না প্রধান নির্বাচক।  

“যেহেতু এক বছর কোনো ঘরোয়া ক্রিকেট হয়নি, সব মাঠেই কিন্তু নতুন করে খেলা শুরু হচ্ছে। সেই হিসেবে আমরা অবশ্যই ভালো উইকেট চাচ্ছি। আশা করছি, এনসিএলের চারটি ভেন্যুতে ভালো উইকেট পাব।”

  “আশা করছি, অন্তত দুটো ভেন্যুতে দুই রকমের খেলা হবে। যেন একটা দল দুই ভেন্যুতে দুই রকম উইকেট পায়। সবাই যেন সব ধরনের উইকেটে অভ্যস্ত হয়। যেহেতু উইকেট গুলো একদম ফ্রেশ পাচ্ছি, আশা করছি চ্যালেঞ্জিং উইকেটই পাব।”

জাতীয় লিগ দিয়েই কোভিড বিরতির পর ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত আসরগুলো ফিরতে যাচ্ছে। চার দিনের ম্যাচের এই টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য সময় আগামী ২২ মার্চ।

এরই মধ্যে প্রতিটি দলের জন্য স্কোয়াড ঠিক করে দিয়েছেন নির্বাচকরা। মিনহাজুল জানালেন, খেলোয়াড়দের টিকা পাওয়ার উপর নির্ভর করছে বাকিটা।

“আমরা দলগুলো তৈরি করতে অধিনায়ক ও কোচের সঙ্গে বসেছিলাম। ৮ বিভাগের সঙ্গে বসেছি এবং মোটামুটি ১৮ জন করে দল তৈরি করে দিয়েছি। ২২ মার্চ একটা তারিখ দেওয়া আছে। এখন টিকা কবে নেয়, সেটার ওপর নির্ভর করছে। আমরা আমাদের কাজ এগিয়ে রেখেছি। দলগুলো প্রায় প্রস্তুত করে দিয়েছি যেন অনুশীলন শুরু করে দিতে পারে।”

পরিকল্পনা অনুযায়ী টুর্নামেন্ট শুরু করতে পারলে লাল বলে দুটি ম্যাচ খেলে শ্রীলঙ্কায় যেতে পারবেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য মমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদরা। জাতীয় দলের সীমিত ওভারের স্কোয়াডের হয়ে এখন নিউ জিল্যান্ড সফরে থাকা তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা দেশে ফিরে যেন অন্তত একটি ম্যাচ খেলে যেতে পারেন, সেই চেষ্টাও আছে মিনহাজুলদের।

“ টেস্ট দলের ক্রিকেটাররা যারা দেশে আছে, ওরা দুই রাউন্ড খেলতে পারবে। তৃতীয় রাউন্ড হবে ৫ এপ্রিল থেকে। আমরা আলোচনা করছি। নিউজিল্যান্ড থেকে আসার পর ওরা যেন এক রাউন্ড খেলে শ্রীলঙ্কা যেতে পারে, আমরা সেই চেষ্টা করব।”

নিউ জিল্যান্ডে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলে তামিমদের দেশে ফেরার কথা ২ কিংবা ৩ এপ্রিল। বাস্তবতা বলছে, ফেরার পর তাদের জাতীয় লিগে খেলা কঠিন। তারা খেলতে না পারলেও প্রস্তুতির জন্য বিকল্প ভাবনা আছে বলে জানালেন প্রধান নির্বাচক।

“ শ্রীলঙ্কা গিয়ে ওরা যথেষ্ট সময় পাবে। আমরা যদি একটা তিনদিনের ম্যাচ খেলতে পারি এবং লাল বলে যথেষ্ট অনুশীলন করতে পারি, তাহলে মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না।”

গত কিছু দিন ধরে প্রস্তুতি ঘাটতি নিয়েই টেস্ট খেলে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশের। এর প্রভাব পড়ছে মাঠের খেলায়। ভারত ও পাকিস্তান সফরে সব ম্যাচ ইনিংস ব্যবধানে হারের পর দেশের মাটিতে দল হোয়াইটওয়াশ হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

দুটি টেস্ট খেলতে আগামী ১২ এপ্রিল শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা বাংলাদেশের।