বিশ্বকাপ শুনে অনেকে অবশ্য ধন্দে পড়তে পারেন। ভারতের হয়ে গত ৫ বছরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দেখা যায়নি ইশান্তকে। সামনেও দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। বিশ্বকাপ তাহলে কোত্থেকে আসছে!
ইশান্তই দিয়েছেন সেই ব্যাখ্যা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট হতে যাচ্ছে এই পেসারের ক্যারিয়ারের ১০০তম টেস্ট। ভারতের দ্বিতীয় পেসার হিসেবে তিনি স্পর্শ করতে যাচ্ছেন এই মাইলফলক। সামনে আছেন কেবল কপিল দেব। কপিলের ১৩১ টেস্টে রেকর্ড কি ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব? ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নের উত্তরেই ইশান্ত বললেন তার বিশ্বকাপের কথা।
“ ১৩১ পর্যন্ত যেতে অনেক সময়ের ব্যাপার। এখন আমার ভাবনা কেবল সামনের টেস্ট জয় করা নিয়ে। তার পর লক্ষ্য হবে পরের টেস্ট জয় করা, যাতে আমরা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে পারি।”
“ আমি কেবল একটি ফরম্যাটই খেলি। কাজেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপই আমার কাছে বিশ্বকাপ। আমরা যদি ফাইনালে উঠতে পারি এবং জিততে পারি, তাহলে বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতিই হবে আমার।”
চোট কাটিয়ে চলতি সিরিজ দিয়েই ফিরেছেন ইশান্ত। প্রথম দুই টেস্টে পেস প্রতিকূল উইকেটেও দারুণ বোলিং তিনি করেছেন। ফিট থাকলে ১৩১ টেস্ট খেলতে না পারার কারণ তার নেই। সামনে তো উজ্জ্বল উদাহরণও আছে। ৩৮ বছর বয়সেও দাপটে খেলে খেলেছেন ইংলিশ পেস কিংবদন্তি জিমি অ্যান্ডারসন। ১৫৮ টেস্ট তার হয়ে গেছে।
৩২ বছর বয়সী ইশান্ত কি পারবেন অ্যান্ডারসনের মতো দীর্ঘ অভিযানের সৈনিক হতে? তিনি এখনই ভাবতে চান না অত দূর ভবিষ্যৎ।
“ এখন এই অবস্থায় ৩৮ বছরের কথা বলা কঠিন। আমি একটি করে টেস্ট ধরে এগোচ্ছি। খুব বেশি দূর ভাবি না, কারণ কেউ জানে না (সামনে কী অপেক্ষায়)।”
“ তবে হ্যাঁ, এখন আমি নিজের শরীরকে ভালো বুঝি। জানি কোন ধরনের ট্রেনিং আমার দরকার। আগে অনেক সময়ই কঠিন অনুশীলন করতাম কিন্তু শরীরকে রিকভারির সময় দিতাম না। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বুঝেছি, লম্বা স্পেল করার পাশাপাশি নিজের দেখভালও করতে হয়। আমি সেটা করছি।”
ইশান্তের শততম টেস্ট বুধবার থেকে শুরু আহমেদাবাদে।