যে কৌশলে হতাশ হলেও লাভ দেখছেন অ্যান্ডারসন

এক ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলের জয়ের নায়কদের একজন। পরের ম্যাচেই দর্শক! এভাবেই চলছে জিমি অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের। ছন্দে থাকার সময় মাঠের বাইরে থাকতে কার ভালো লাগে! অ্যান্ডারসনেরও মেনে নিতে কষ্ট হয়। তবে দিনশেষে এটিও বুঝতে পারেন, তাদের ভালোর জন্যই এতকিছু।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2021, 05:42 AM
Updated : 22 Feb 2021, 05:42 AM

৩৮ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন ও ৩৪ বছর বয়সী ব্রডের ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত করতে ও তরতাজা রাখতে বেশ কিছুদিন ধরেই তাদেরকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিশ্রাম দিয়ে খেলাচ্ছে ইংল্যান্ডের টিম ম্যানেজমেন্ট।

শুধু এই দুজনই অবশ্য নন, অন্য বোলারদের ক্ষেত্রে, এমনকি চলতি ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজে স্পিনার ও ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রেও ‘রোটেশন পলিসি’ নিয়েছে ইংল্যান্ড। এটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে অনেক।

অ্যান্ডারসন ও ব্রডকে নিয়ে আলোচনা বেশি দুজনের অভিজ্ঞতা, সাফল্য ও জুটি হিসেবে দুর্দান্ত বলেই। গত মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দারুণ বোলিং করেন ব্রড। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে তাকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হয় অ্যান্ডারসনকে। সেই টেস্টে আগুনঝরা বোলিংয়ে অ্যান্ডারসন নেন ইনিংসে ৬ উইকেট।

ভারতে প্রথম টেস্টে আবার দুর্দান্ত বোলিংয়ে অ্যান্ডারসন নেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় টেস্টে তাকে বাইরে রেখে খেলানো হয় ব্রডকে। তৃতীয় টেস্টে আবার ফিরতে যাচ্ছেন অ্যান্ডারসন।

আবার মাঠে ফেরার আগে অ্যান্ডারসন তুলে ধরলেন বিরতি দিয়ে খেলার দুটি দিকই।

“ বৃহত্তর ছবিটা দেখার চেষ্টা করতে হবে এখানে। এই সিরিজে পরিকল্পনাটা ছিল, দ্বিতীয় টেস্টে আমি না খেললে গোলাপি বলের টেস্টের জন্য ফিট থাকা ও জ্বলে ওঠার বেশি সুযোগ থাকবে আমার জন্য। এজন্যই আমি এখন তরতাজা, ভালো অনুভব করছি ও সুযোগ পেলে তৈরি আছি।”

“ হ্যাঁ, একটা দিক থেকে বসে থাকাটা হতাশার তো বটেই। তবে আমি বৃহত্তর ছবিটা দেখছি, বিশেষ করে যে পরিমাণ ম্য্যাচ আমাদের সামনে আছে।”

গত দুই বছরে চোটের সঙ্গে বেশ লড়াই করতে হয়েছে অ্যান্ডারসনকে। ২০১৯ অ্যাশেজের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকেত হয়েছে তাকে, পরের বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজেও ভুগিয়েছে চোট। এটিও ভাবনায় আছে তার ও দলের।

এই বছর ইংল্যান্ডের সূচিতে আছে অনেক টেস্ট। বিশ্রাম দিয়ে খেলানোর বিকল্প তাই দেখছেন না টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসার অ্যান্ডারসন।

“ শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, সব বোলারদেরই এভাবে খেলানো হবে। এই বছর আমাদের ১৭টি টেস্ট ম্যাচ। সেরা ক্রিকেটারদের কাছ থেকে সর্বোচ্চটা পাওয়ার সম্ভাব্য উপায় তাই, যখনই সুযোগ হয় বিশ্রাম দেওয়া।”