টেন্ডুলকারের ছেলে বলে নয়, ‘স্কিল দিয়েই’ মুম্বাইয়ে অর্জুন

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের পারফরম্যান্স আহামরি নয়। স্বীকৃত ক্রিকেটের পথচলা শুরু হলো কেবলই। প্রতিভার বড় কোনো বিজ্ঞাপনও অর্জুন টেন্ডুলকার দেখাতে পারেননি সেভাবে। তার পরও তিনি জায়গা পেয়ে গেলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে। বাবা শচিন টেন্ডুলকার দলের মেন্টর বলেই কি এতো বড় সুযোগ পেলেন অর্জুন? মুম্বাইয়ের কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে ও ক্রিকেট অপারেশন্স পরিচালক জহির খানের দাবি, অর্জুনকে নেওয়া হয়েছে স্রেফ স্কিল দেখেই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2021, 12:26 PM
Updated : 19 Feb 2021, 12:26 PM

চেন্নাইয়ে বৃহস্পতিবার আইপিএলের নিলামে সবশেষ ক্রিকেটার হিসেবে নাম ওঠে অর্জুনের। ২০ লাখ রুপি ভিত্তি মূল্যের তরুণ এই পেসারকে প্রথম ডাকেই পেয়ে যায় মুম্বাই। আগ্রহ দেখায়নি আর কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি।

অর্জুন ২০১৮ সালে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে দুটি যুব টেস্ট খেলেছিলেন অর্জুন। কিন্তু যুব বিশ্বকাপ দলে জায়গা হয়নি তার। পরে খেলেছেন মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় একাদশ ও মূল দলের হয়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী ও প্রস্তুতি ম্যাচে।

গত মাসে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয় অর্জুনের। মুম্বাইয়ের হয়ে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে ২ ম্যাচ খেলে ২ উইকেট নেন ২১ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার। আইপিএলের গত আসরে মুম্বাইয়ের নেট বোলার ছিলেন তিনি।

২০১৭ সালে ভারতের ইংল্যান্ড সফরের সময় ইংলিশদের নেট বোলার হিসেবে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন অর্জুন। তার ইয়র্কারে চোট পেয়ে নেট ছেড়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো।

জয়াবর্ধনে মনে করেন, সামর্থ্য যথেষ্টই আছে অর্জুনের। শেখার সুযোগ করে দিতেই তাকে দলে নেওয়া বলে নিলাম শেষে জানান তিনি।

“এটাকে (অর্জুনকে দলে নেওয়া) আমরা স্কিলের ভিত্তিতে দেখেছি। শচিনের কারণে তার সঙ্গে বড় একটি তকমা লেগে আছে বটে। তবে ভাগ্যক্রমে সে একজন বোলার, ব্যাটসম্যান নয়। আমার মনে হয়, শচিন যদি অর্জুনের মতো বল করতে পারত, তাহলে সেও গর্ব করত। ”

“ এটা অর্জুনের জন্য শেখার একটি প্রক্রিয়া। সে কেবলই মুম্বাইয়ের হয়ে খেলা শুরু করেছে, এখন এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে। নিজের করণীয় শিখে সে ক্রমান্বয়ে বিকশিত হবে। এখনও সে তরুণ, খুবই মনোযোগী একজন। আমাদের তাকে সময় দিতে হবে। আশা করি তার ওপর বেশি চাপ দেওয়া হবে না। তাকে স্রেফ ধীরে ধীরে উন্নতি করতে এবং নিজের মতো করে কাজ করতে দিতে হবে। আমরা তাকে এই জায়গায়টায় সহায়তা করব।”

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স বরাবরই তরুণদের জন্য আদর্শ পাঠশালা। এই ফ্র্যাঞ্চাইজির সৌজন্যেই সুযোগ পেয়ে নিজেদের বড় তারকা হিসেবে গড়ে তুলেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া ও ক্রুনাল পান্ডিয়ারা। জহির জানান, এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই অর্জুনকে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

“ আমাদের দলে খেয়াল করলে দেখা যায়, বছরের পর বছর ধরে আমরা সবসময়ই তরুণদের পাশে ছিলাম। বরাবরই প্রতিভার সন্ধান করে তাদেরকে সুযোগ করে দিয়েছি আমরা। এই নিলামেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার দারুণ সমন্বয় আমরা গড়তে পেরেছি। এটিই ছিল প্রক্রিয়া এবং আমরা এটা অব্যাহত রাখব। ”

“এবারও আমরা রোমাঞ্চকর কিছু তরুণ প্রতিভাকে পেয়েছি এবং অর্জুন নিশ্চিতভাবে তাদের মধ্যে একজন। গত আইপিএলে যখন আমরা আবু ধাবিতে যাই, সে এই দলের সঙ্গে ছিল। সে আমাদের সঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছে।”