মরিস ১৬ কোটি ২৫ লাখ, জেমিসন ১৫ কোটি

আইপিএলের নিলামে আগেও ঝড় তুলেছেন ক্রিস মরিস। তবে এবার শুধু নিজেকে নয়, নিলামে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি সব আসরের সব ক্রিকেটারকে! আইপিএলের নিলামে সবসময়ের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার এখন এই দক্ষিণ আফ্রিকান পেস বোলিং অলরাউন্ডার। নিলামের টেবিলে তিন অস্ট্রেলিয়ান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জাই রিচার্ডসন ও রাইলি মেরেডিথের সঙ্গে ঝড় তুলেছেন নিউ জিল্যান্ডের কাইল জেমিসন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2021, 12:47 PM
Updated : 18 Feb 2021, 04:35 PM

চেন্নাইয়ে বৃহস্পতিবার এবারের আইপিএলের নিলামে মরিসকে পেতে তুমুল ত্রিমুখি লড়াই হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, পাঞ্জাব কিংস ও রাজস্থান র‌য়্যালসের। শেষ পর্যন্ত ৭৫ লাখ রুপি ভিত্তি মূল্যের ক্রিকেটারকে ১৬ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে দলে নেয় রাজস্থান।

আইপিএলের নিলামে এর আগে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ড ছিল যুবরাজ সিংয়ের, ২০১৫ সালে তাকে ১৬ কোটি রুপিতে নিয়েছিল সে সময়ের দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল গতবারের নিলামে প্যাট কামিন্সের ১৫ কোটি ৫০ লাখ।

প্রথমবারের মতো আইপিএলের নিলামে নাম দিয়েই সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়াদের তালিকায় নাম উঠে গেছে জেমিসনের। দিল্লি ক্যাপিটালস, পাঞ্জাব কিংসের সঙ্গে লড়াইয়ের পর ১৫ কোটি রুপিতে তাকে দলে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোর। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা নিউ জিল্যান্ডের এই পেসার এখন আইপিএলের চতুর্থ সর্বোচ্চ দামি ক্রিকেটার।

ম্যাক্সওয়েলকেও অনেক দামে কিনেছে বেঙ্গালোর। চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে লড়াইয়ের পর ১৪ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে অস্ট্রেলিয়ার এই আগ্রাসী ব্যাটসম্যানকে দলে নিয়েছে তারা।

আইপিএলের গতবারের নিলামে ম্যাক্সওয়েলকে ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছিল পাঞ্জাব। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণে তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন চরমভাবে। তার পরও তাকে নিতে নিলামে পড়ে গেল কাড়াকাড়ি।

মরিসকে নিয়েও আইপিএল দলগুলোর আগ্রহ পুরোনো। পেস বোলিং অলরাউন্ডারের চাহিদা আইপিএলে সবসময়ই বেশি। মরিসের ওপর ভরসা আরও বেশি থাকে ডেথ ওভারে তার কার্যকর বোলিং ও শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে পারার সামর্থ্যের কারণে।

নিলামের বড় দুই চমক জাই রিচার্ডসন ও রাইলি মেরেডিথ।

২০১৩ সালে যখন ক্রিকেট বিশ্বে খুব পরিচিত নাম ছিলেন না তিনি, তখনই তাকে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি রুপিতে (৬ লাখ ২৫ হাজার ডলার) দলে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। এরপর ২০১৬ আইপিএলে ৫০ লাখ রুপি ভিত্তি মূল্য থেকে নিলামে তাকে ৭ কোটি রুপিতে দলে নেয় সেই সময়ের দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। ২০১৮ আসরেও দিল্লি তাকে ধরে রাখে ১১ কোটি রুপিতে। তবে চোটের কারণে ছিটকে যান তিনি সেবার। এবার তিনি আবার পেলেন চোখধাঁধানো পারিশ্রমিক।

এবারের নিলামের আরেকটি বড় চমক জাই রিচার্ডসন। সদ্য সমাপ্ত বিগ ব্যাশে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর তাকে ঘিরে আইপিএল দলগুলির আগ্রহের খবর শোনা যাচ্ছিল। তবে বেঙ্গালোর, দিল্লি ও পাঞ্জাবের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর ১৪ কোটি রুপিতে এই অস্ট্রেলিয়ান পেসারকে দলে পায় পাঞ্জাব।

পারিশ্রমিকে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও চমকে এগিয়ে সম্ভবত রাইলি মেরেডিথ। এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলা অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলারকে নিয়ে দিল্লি ও পাঞ্জাবের কাড়াকাড়ির পর ৮ কোটি রুপিতে দলে নিয়েছে পাঞ্জাব। এবারের বিগ ব্যাশে ১৩ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার।

প্রথমবার আইপিএল খেলবেন টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান দাভিদ মালান। ইংলিশ এই ব্যাটসম্যানকে এক কোটি ৫০ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছে পাঞ্জাব কিংস।

মালানের সতীর্থ অলরাউন্ডার মইন আলি খেলবেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে। ৭ কোটি রুপিতে তাকে পেয়েছে দলটি।

২ কোটি ২০ লাখ মূল্যে স্টিভেন স্মিথকে দিল্লি ক্যাপিটালস, ৪ কোটি ৪০ লাখে শিভাম দুবেকে নিয়েছে রাজস্থান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পথচলা শুরু না হওয়া ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যের রেকর্ড গড়েছেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। ৯ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে এই স্পিনিং অলরাউন্ডারকে দলে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আগের রেকর্ড ছিল ক্রুনাল পান্ডিয়ার, তাকে ২০১৮ সালে ৮ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে দলে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

দল পেয়েছেন শচিন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। ২০ লাখ রুপির ভিত্তি মূল্যেই তাকে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।