বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে টিকা নেওয়ার পর বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বললেন, টিকাদান নিয়ে অনেকেই নেতিবাচক কথা বলেন, কিন্তু ইতিবাচক দিকগুলোও বলা দরকার।
“এখন টিকা নেওয়াটা সবার জন্য জরুরি হয়ে গেছে। বিশেষ করে নিজের শরীরের জন্য।… যারাই এর সঙ্গে জড়িত আছেন (টিকাদান কার্যক্রম) তাদেরকে আমার তরফ থেকে স্যালুট।”
২৩ ফেব্রুয়ারি নিউ জিল্যান্ড সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তার আগেই তাদের জন্য টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বিসিবি।
করোনাভাইরাসের টিকা নিতে বৃহস্পতিবার ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যান জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকার ও তার স্ত্রী প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজা। ছবি: মাহমুদ জামান অভি
বেলা ১০টার দিকে বিসিবির কোচিং স্টাফরাও হাসপাতালে পৌঁছান। কিছুক্ষণ পর সৌম্য সরকার পৌঁছান তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে। তামিমও এসেছিলেন তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে।
টিকা নেওয়ার পর বেলা বারোটায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, টিকাদান ব্যবস্থাপনা ‘খুবই সুন্দর’ ছিল।
“এখানে আমার অভিজ্ঞতাটা খুব ভালো ছিল। শুধু আমার না, বন্ধু, পরিবারের সদস্য যারা নিজে থেকে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা নিয়েছেন, তাদেরও টিকা দেওয়ার প্রসেসটা খুবই ভালো ছিল।”
টিকা নেওয়ার আগে কিছুটা ভয় ছিল জানিয়ে তামিম বলেন, বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে, কারও সাহায্যে বোঝার চেষ্টা করলে আর ভয় থাকে না।
জাতীয় দলের ক্রিকেটার মেহেদি হাসান মিরাজ করোনাভাইরাসের টিকা নিতে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যান। ছবি: মাহমুদ জামান অভি
দেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার এই ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকেও ধন্যবাদ জানিয়ে তামিম বলেন, “আমরা আসলে লাকি যে টিকাটা আমরা পাচ্ছি। উন্নত অনেক দেশেও এই পরিমাণ টিকা এখনও দেওয়া হচ্ছে না।”
ক্রিকেটাররা টিকা নেওয়ার সময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, জাতীয় দলের যেসব ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ এবং কর্মকর্তা নিউ জিল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন, তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
“আমি গতকাল অন্যান্য খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসেছিলাম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা সবাই টিকা নেবে। ফুল কোচিং স্টাফ যারা যাচ্ছেন, তাদেরও টিকা দেওয়া হবে।”