সেই প্রাক-পেশাদার যুগে বানানো এসএলসির গঠনতন্ত্রকে অনেকেই উপযুক্ত মনে করেন না। দুর্বল ঘরোয়া কাঠামোসহ দেশটির ক্রিকেটের অনেক সমস্যার উৎস ধরা হয় একে।
গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনার চেষ্টা আগেও হয়েছে। কিন্তু সেগুলো কাজে লাগেনি। এবার প্রথমবারের মতো আদালতের মাধ্যমে এসএলসিকে চাপ দেওয়ার প্রয়াস।
এসএলসি ও লঙ্কান ক্রীড়া মন্ত্রীকে এরই মধ্যে নোটিশ পাঠিয়েছে আদালত। আগামী ১৫ মার্চ তাদেরকে এই আবেদনের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনে অনেক ব্যাপারেই উদ্বেগ জানানো হয়েছে। বোর্ডের নির্বাচনে ভোটের সংখ্যা কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করার কথা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এতে প্রথম শ্রেণির দলের সংখ্যা কমবে, পূরণ হবে অন্য চাওয়াও।
এসএলসির নির্বাচনে ভোট ১৪৮টি। যেখানে শ্রীলঙ্কার চেয়ে প্রায় ৬০ গুণ বেশি জনংসংখ্যার দেশ ভারতের ক্রিকেট বোর্ড-বিসিসিআইয়ের ভোট কেবল ৩৮টি।
আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছেলেদের জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের অবনতির কারণ বাজেভাবে পরিচালিত ঘরোয়া ক্রিকেট।
গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন এলে এসএলসির প্রশাসনে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার পক্ষে সহায়ক হতে পারে। বর্তমানে নির্বাহী কমিটিতে নারী নেই একজনও।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত ক্রিকেটার উঠে এসেছে মূলত চারটি প্রদেশ থেকে। গঠনতন্ত্রে আশাতীত পরিবর্তন হলে এর বাইরেও ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দেওয়ার আশা করছেন মুরালিধরনরা। সেই ১৯৮২ সাল থেকে টেস্ট ক্রিকেট খেলছে শ্রীলঙ্কা। অথচ অন্য পাঁচটি প্রদেশ থেকে এখন পর্যন্ত উঠে আসেননি একজনও টেস্ট ক্রিকেটার।
ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে এসএলসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করেনি।