নেতৃত্বের জ্বালা বুঝছেন মুমিনুল

বিদেশের মাঠে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল। এবার দেশের মাটিতেও সেই তেতো স্বাদ পেয়ে গেলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তার কাজ আরও কঠিন করে তুলেছে পারিপার্শ্বিকতা। সব মিলিয়ে মুমিনুলের উপলব্ধি, অধিনায়কত্ব খুবই চ্যালেঞ্জিং।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2021, 04:06 PM
Updated : 14 Feb 2021, 04:41 PM

২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত সফরের ঠিক আগে সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার পর অনেকটা হুট করেই নেতৃত্ব চেপে বসেছিল মুমিনুলের কাঁধে। সেই সফরে দুটি টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।

এরপর পাকিস্তান সফরে গিয়েও একমাত্র টেস্টে অধিনায়ক মুমিনুলের প্রাপ্তি ইনিংস ব্যবধানের পরাজয়। পরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে জয়ের স্বস্তি পেলেও এবার দেশের মাটিতে দুই টেস্টেই হারতে হলো সেরা দল না নিয়ে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

ক্যারিবিয়ানদের কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর মুমিনুল হতাশ স্বাভাবিকভাবেই। তার পরও ভবিষ্যতে তাকিয়ে শোনালেন আশার কথা।

“বিদেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশের অভিজ্ঞতা ছিল। দেশের মাটিতে বাকি ছিল, সেটাও হয়ে গেছে। দল যখন হারে, তখন তা অবশ্যই হতাশার। হয়তো এরপরও কিছু ইতিবাচক ব্যাপার থাকবে। আমাদের উন্নতির এখনও অনেক বাকি আছে। যেগুলো করলে হয়তো আমরা ভবিষ্যতে টেস্ট জিততে পারব দেশে ও দেশের বাইরে।”

করোনাভাইরাসের প্রকোপে এক বছর টেস্ট খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। মুমিনুলের মতে, দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে নামায় অধিনায়কের কাজ ছিল সবচেয়ে কঠিন।

“অধিনায়ক হিসেবে আমি সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি। করোনাভাইরাসের জন্য লম্বা সময় কোনো টেস্ট খেলাই হয়নি। এক বছর পর আমরা টেস্ট খেলেছি। যদিও এটা কোনো অজুহাত নয়, কিন্তু আমার জন্য এটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। অধিনায়ক হিসেবে সব কিছু বুঝে উঠা, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া…।”

“টেস্ট খেলায় যদি লম্বা বিরতি পড়ে, তখন খেলাটা কঠিন। যদিও এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখালে পরাজিতের মতো চিন্তা হয়ে যাবে। কিন্তু এটা আমার জন্য একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল। কিছুদিন পরপর টেস্ট খেললে কাজটা সহজ হয়ে যায়। বিরতি পড়লে কঠিন হয়ে ওঠে।”