ব্যাটিং ধসের কারণ জানেন না অধিনায়ক

লক্ষ্য নাগালের বাইরে ছিল না। উইকেটও খুব কঠিন নয়। বিধ্বংসী ছিল না প্রতিপক্ষের বোলিংও। সবই মানছেন মুমিনুল হক। তারপরও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে ধস। ব্যাটসম্যানরা পারলেন না ইনিংস বড় করতে। কারণ তাহলে কি? জানা নেই বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2021, 03:19 PM
Updated : 14 Feb 2021, 03:19 PM

মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেখানে গড়ে চারশ ছাড়ানো স্কোর, দারুণ ব্যাটিং উইকেটে সেখানে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয় তিনশ করতে। পরের ইনিংসে উইকেট স্পিন সহায়ক হয়ে ওঠে বটে, তবে ২৩১ করতে না পারার মতো ভয়ঙ্কর কিছু নয়। কিন্তু বাংলাদেশ যেতে পারে ২১৩ পর্যন্ত। সেটিও লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের লড়াইয়ের পর।

প্রথম ইনিংসে ১১৩ রানে পিছিয়ে থাকলেও বোলাররা দারুণ পারফরম্যান্সে ম্যাচে ফেরায় বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ১১৭ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় জয়ের লক্ষ্য হয় ২৩০।

তারপরও পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে মুমিনুল মাথা পেতে নিলেন ব্যর্থতা।

“যে লক্ষ্য আমরা পেয়েছিলাম, এই উইকেটে সেটা তাড়া করার মতোই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডারে ধস নামায় আমরা লক্ষ্য ছুঁতে পারিনি।”

“চার দিনে আমার কাছে মনে হয় না কখনও ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট খুব কঠিন ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে গেলে উইকেট একটু কঠিন থাকলেও মানিয়ে নিয়েই খেলতে হবে। খুব একটা বাজে বাউন্স ছিল না। কর্নওয়াল হয়তো ওর উচ্চতার জন্য একটু বাড়তি বাউন্স পেয়েছে। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের মানিয়ে নিতে পারা উচিত ছিল। আমরা সেটা করতে পারিনি। এজন্য হাত থেকে চলে গেছে টেস্ট।”

ম্যাচের পর পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণে বাংলাদেশ অধিনায়ক দায় দিলেন ব্যাটিংকে।

“ব্যাটিংয়ে আমরা খুব বাজেভাবে ভেঙে পড়েছি। এরপর আর ফিরতে পারিনি। প্রথম ইনিংসে বলেন, দ্বিতীয় ইনিংস বলেন, একই ব্যাপার ঘটেছে।”

এই ধসের কারণ কি? অধিনায়ক এখানে অসহায়।

“নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই…হয়তো পরিকল্পনা অনুযায়ী মানিয়ে নিতে পারিনি।

দ্বিতীয় ইনিংসে ঠিক সেই অর্থে ধসের শিকার বাংলাদেশ হয়নি। ৯ জন ব্যাটসম্যানই ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক। তারা ব্যর্থ হয়েছেন ইনিংস বড় করতে। প্রায় সবাই আউট হয়েছেন নিজেদের ভুলে।

এখানেও ব্যর্থতা মেনে নিয়ে মুমিনুল তাকিয়ে সামনে।

“আমাদের ইনিংস বড় করতে না পারার তেমন কোনো কারণ নেই। হয়তো এটা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে। আরেকটু চিন্তা-ভাবনা করে আমাদের ম্যাচ পরিকল্পনা ঠিক করতে হবে। সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে, সেই সিরিজেই হয়তো আমরা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারব।”