শেষ পর্যন্ত একাদশেও ঢুকে যান সৌম্য। বোলিং-ফিল্ডিংয়ে ভালো করলেও মূল কাজ ব্যাটিংয়ে করেছেন হতাশ। দুই ইনিংসে করেন শূন্য ও ১৩ রান।
ঢাকা টেস্টে ১৭ রানে হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার পর নাজমুল হাসান জানালেন, সৌম্য ছিল তার দেওয়া চতুর্থ বিকল্প!
“যখন শুনলাম সাকিব ইনজুরিতে…ওখানে আমার সামনে আকরাম ছিল, নান্নু ছিল, সুজন ছিল, সুমন ছিল। আমি ওদেরকে অপশন দিয়েছিলাম চারটা না পাঁচটা। মাহমুদউল্লাহ নাম্বার ওয়ান, তারপর মোসাদ্দেক হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান এবং চতুর্থ অপশন ছিল সৌম্য। তারা সৌম্যকে বাছাই করেছে।”
দলে আগে থেকেই ছিলেন আরেক ওপেনার সাইফ হাসান। এরপরও সৌম্যর একাদশে থাকার একটা ব্যাখ্যা দিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
“আমি আগেও বলেছি, সাকিব ভাই চলে যাওয়াতে আমাদের কম্বিনেশন ওলট-পালট হয়ে গেছে। এরপর আমার মিডিয়াম পেস বোলার ও ব্যাটসম্যান দরকার ছিল। এখানটায় সৌম্য অভিজ্ঞ। আগেও টেস্ট খেলেছে। সম্প্রতি ওয়ানডেও খেলেছে। অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করে ওকে দলে নিয়েছিলাম। দল যখন হারে তখন এগুলো চোখে পড়ে। যদি জিততাম, হয়তো…।”
যে স্কোয়াড বেছে নিয়েছিলেন নির্বাচকরা, সেটা নিয়েও প্রশ্ন আছে বিসিবি প্রধানের। দলে রাখা হয়েছে পাঁচ পেসার অথচ ম্যাচে খেলেছে একজন করে। নাজমুল হাসানের মতে, তাদের ভীড়ে বন্ধ ছিল অন্যদের পথ।
“আমাদের এখন অনেক ভালো পেসার আছে। এত পেসার থাকতেও আমি পেসার খেলাব না? পাঁচ জনকে নিয়ে এখানে অলরাউন্ডারের জায়গাটা বন্ধ করে দিয়েছে। একটা অলরাউন্ডার নেওয়ার জায়গা বন্ধ করে দিয়ে পাঁচ পেসার নিলাম, কিন্তু খেলাচ্ছি না। তাহলে নিলাম কেন আমরা? তাই (এটাকে) আপনি যদি দল নির্বাচন বলেন, তাহলে আমার বলার কিছু নাই।”