‘টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দিতে মুমিনুলের চেয়ে ভালো কেউ নেই’

চট্টগ্রাম টেস্টে হারের পর বাংলাদেশের বোলিংয়ের সঙ্গে মুমিনুল হকের অধিনায়কত্ব নিয়েও চলছে সমালোচনা। তবে এখনই তার নেতৃত্ব নিয়ে অধৈর্য হওয়ার কিছু দেখছেন না তামিম ইকবাল। বাঁহাতি এই ওপেনারের চোখে, টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে মুমিনুলই সবচেয়ে যোগ্য। সময়ের সঙ্গে তিনি হয়ে উঠবেন আরও পরিণত।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2021, 02:48 PM
Updated : 12 Feb 2021, 05:35 PM

৩৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন উইকেটে হারে বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনে প্রথম দুই সেশনে একটি উইকেট না পড়লেও মূল চার বোলারের বাইরে আর কাউকে বোলিংয়ে আনেননি মুমিনুল। আক্রমণাত্মক ছিল না স্বাগতিকদের ফিল্ডিংও। 

ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে তামিম জানান, এই মুহূর্তে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুলের বিকল্প কাউকে দেখেন না তিনি।

“আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই কাজের জন্য মুমিনুল উপযুক্ত ব্যক্তি। টেস্ট অধিনায়কত্ব সহজ কাজ না। ওয়ানডে বলেন, টি-টোয়েন্টি বলেন এগুলো একটা দিনের খেলা। টেস্ট অধিনায়কত্ব অনেক, অনেক কঠিন।”

“ওর যে চিন্তাধারা, ওর যে পরিকল্পনা, ওর যে মনোযোগ, ওর যে ভবিষ্যত ভাবনা...টেস্ট ক্রিকেটকে যেভাবে দেখে, আমার মনে হয় না, নেতৃত্ব দিতে ওর চেয়ে ভালো কেউ আছে।”

সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার পর হুট করেই ভারত সফরের আগে টেস্ট দলের নেতৃত্ব পান মুমিনুল। ভারতের পর পাকিস্তানে এবং দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দেশকে নেতৃত্ব দেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তামিম মনে করেন, নেতৃত্বে থিতু হতে মুমিনুলের আরও সময় প্রয়োজন।

“একটা বিষয় আপনাদের সবার মাথায় রাখতে হবে, সে খুবই তরুণ। সে ভুল করতেই পারে, এটা যে কোনো অধিনায়কই করে। আর সে এটা থেকে শিখবে। আমি নিশ্চিত, সময়ের সাথে সাথে ও পরিণত হবে। অনেক ভালো কিছু সে করবে।”

“আমাদের দলে টেস্ট ক্রিকেটের দিকে মনোযোগ বেশি, এই সংস্করণকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়, এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে মুমিনুলের নাম উপরের দিকেই থাকবে নিশ্চিতভাবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মুমিনুলই সঠিক ব্যক্তি।”

অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুলের উন্নতির জন্য তার পাশে সিনিয়র ক্রিকেটারদের চেয়েছিলেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তামিম জানালেন, সব সময়ই সতীর্থের পাশেই থাকেন তারা।   

“আমরা অবশ্যই সাপোর্ট দিতে চাই, যখনই আমাদের কিছু বলার থাকে আমরা বলি। ও যেটা ভালো মনে করে সেটা নেয়। যেটা মনে করে এখন দরকার নাই সেটা নেয় না। একজন অধিনায়কের জন্য যা ভালো দিক।”

“এমন না যে সিনিয়র হওয়ার কারণে সবসময় ওকে বলতে থাকবো। সময় সময় যখন আমরা অনুভব করি, তখনি আমরা পরামর্শ দিই। এবং সে শোনে, এমন না যে করে না। সব কথার শেষ কথা, এই কাজের জন্য সেই সবচেয়ে উপযুক্ত।”