মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম তিন ওভারে দুই উইকেট হারানোর ধাক্কা বাংলাদেশ অনেকটাই সামাল দিয়েছিল তামিমের ব্যাটে। রাকিম কর্নওয়ালকে মাথার ওপর দিয়ে ছক্কায় ওড়ানোর পর বাউন্ডারি মারেন তিনি জোড়ায় জোড়ায়। আলজারি জোসেফের পরপর দুই ওভারে চারটি চারের পর শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে মারেন টানা দুটি।
দারুণ খেলে ৪৪ রান করে উইকেট ছুঁড়ে আসেন তিনি। জোসেফের অফ স্টাম্পে থাকা বল ফ্লিক করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড উইকেটে।
তামিমের সঙ্গে বেশ আগ্রাসী ব্যাট করছিলেন মুমিনুল হক। ৩৯ বলে ২১ রান করেন তিনি চারটি চারে। আপার কাট, গ্লাইডের মতো কিছু শট বাংলাদেশ অধিনায়ক খেলেন, টেস্ট ক্রিকেটে এবং দলের বিপর্যয়ের মধ্যে যেসব শট যথেষ্টই কৌতূহল জাগানিয়া।
তামিম অবশ্য এটিকে আগ্রাসন না বলে অভিহিত করছেন অভিপ্রায় হিসেবে। তবে আউট হওয়ার শট যে ভালো ছিল না, সেটিও বলছেন নিজেই।
“আমার কাছে মনে হয়, আমি একটু আগ্রাসী খেলেছি। আমি ছাড়া কেউ এমন খেলেছে বলে মনে হয় না আমার। আগ্রাসী নয়, আমার কাছে মনে হয়েছে, আমার ইন্টেন্ট সত্যিই ভালো ছিল। আউট হওয়ার বলটা ছাড়া ওরকম কোনো ভুল শটও খেলিনি। একটা হয়তো স্লিপের পাশ দিয়ে গিয়েছে। বল জায়গায় থাকলে রান করার চেষ্টা করেছি।”
“আমার কাছে মনে হয়েছে, খুব বেশি ডিফেন্সিভ মাইন্ডসেটে যাওয়া উচিত নয়। যদি বাজে শট খেলে আউট না হন, বলের মেরিট অনুযায়ী খেলতে থাকেন, তাহলে এটা ঠিক আছে। দূর্ভাগ্যজনকভাবে যে শট খেলে আমি আউট হয়েছি, দ্যাট ওয়াজ নট অন।”