‘চার উইকেটই পড়েছে ব্যাটসম্যানের ভুলে’

কেউ আউট ওয়ানডে ঘরানার শটে, কেউ অপ্রয়োজনীয় শট খেলে। পরিণতি সবার একই, প্রতিপক্ষের জন্য উপহার নিজের উইকেট। তাতে বিপর্যস্ত দল। মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের যে দুরাবস্থা, সেটির দায় নিজেদের কাঁধেই নিচ্ছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2021, 01:42 PM
Updated : 12 Feb 2021, 05:36 PM

ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ৪০৯ রান তোলার পর বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে তিন ওভারের মধ্যে হারায় প্রথম ২ উইকেট। উইকেট বিলিয়ে ফেরেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

এরপর তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের ব্যাটে ছিল প্রতি-আক্রমণের প্রচেষ্টা। তবে ৫৮ রানের জুটি শেষে এই দুজনও পরপর দুই ওভারে আউট হন আলগা শটে।

উইকেট যথেষ্ট ব্যাটিং বান্ধব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিংও হয়নি আহামরী ভয়ঙ্কর কিছু। তারপরও ৭১ রানে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট।

দিন শেষে ব্যাটিং নিয়ে কাটাছেঁড়ায় তামিম কাঠগড়ায় তুললেন নিজেদেরই।

“উইকেট অসম্ভব ভালো ছিল। আমরা যখন ব্যাটিংয়ে নামি, তখনও উইকেট খুব ভালো ছিল, ওরকম কোনো কিছু হচ্ছিল না। যে চারটি উইকেট আমাদের পড়েছে, কোনোটিই খুব ভালো বলে বা উইকেটের কারণে পড়েনি। চারটিই ব্যাটসম্যানদের ভুল ছিল বলে উইকেট পড়েছে।”

ওই ৪ উইকেটের পর আর কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন ১২২ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়ে কাটিয়ে দেন বাকি সময়।

দল তাকিয়ে এখন দুজনের ব্যাটে। তামিমের বিশ্বাস, বড় একটি জুটি হলে বদলে যাবে চিত্র।

“আজকে দুটি উইকেট কম পড়ে এই রান যদি থাকত, অবশ্যই আমরা আরও ভালো অবস্থানে থাকতাম। চারটা উইকেট পড়ে গেছে, ওরা অবশ্যই টপে আছে। তবে কালকে আমরা যদি একশ-দেড়শ রানের জুটি গড়তে পারি, তাহলে ম্যাচে ফিরতে পারব।”

“উইকেট এখনও পর্যন্ত অমন কোনো আচরণ করেনি, যেটা নিয়ে চিন্তার কিছু আছে। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে কালকে প্রথম সেশন। আমরা যেন উইকেট না হারাই। ৪ উইকেট পড়ে গেছে, খুব বেশি ব্যাটিং বাকি নেই। এই জুটির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে যে কেমন হবে ম্যাচ। এটাই আশা করতে পারি যে ওদের একটা ভালো জুটি হবে।”

এই জুটির পর ব্যাটিং অর্ডারে যারা আছেন, তাদের ওপরও ভরসা আছে তামিমের। তবে দ্বিতীয় দিনের আক্ষেপই তাকে পোড়াচ্ছে বেশি।

“বিশ্বাস তো করতেই হবে, এমন না যে ওরা আগে কখনও করেনি। লিটনের সামর্থ্য আছে। মিরাজ প্রথম ম্যাচে দারুণ ছিল। আমি যেটা বললাম, আমাদের নিজেদেরই দোষ এই অবস্থার জন্য। ভুলগুলো না করলে আমরা আরও ভালো অবস্থায় থাকতাম।”