গত বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ড সফরে কোহলির নেতৃত্বে দুটি টেস্ট হেরেছিল ভারত। করোনাভাইরাস বিরতির পর অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম টেস্টে তারা বাজেভাবে হেরে যায় ৩৬ রানে অলআউট হওয়ার পর। এরপর ছুটিতে দেশে ফেরেন তিনি।
তার দেশে ফেরার পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় চোটে জর্জরিত ভারত। অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে গড়া দল নিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতান তিনি। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি নেতৃত্বের কৌশল দিয়েও নজর কাড়েন রাহানে।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে দলে ফেরেন কোহলি। কিন্তু এই ফেরাও তার স্বস্তির হয়নি। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টেই তার দল হেরে যায় ২২৭ রানে। এরপর থেকে তার টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে ওঠা প্রশ্ন পায় নতুন মাত্রা।
কোহলির নেতৃত্বের রেকর্ড অবশ্য যথেষ্ট ভালো। ৫৭ টেস্টে জয় ৩৩টি। মাঝে দলকে তিনি তুলেছিলেন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। তার নেতৃত্বেই ২০১৮-১৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জিতে ফিরেছিল ভারত।
পিটারসেন বেটওয়ে-তে নিজের কলামে লিখেছেন, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ভারতকে জয় এনে দিয়ে চলমান বিতর্কে রাশ টানার সামর্থ্য রাখেন কোহলি।
“এই বিষয়গুলো (বিতর্ক) পরিবর্তন হবে, এমন আশা আমি করছি না। ভারতের টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে চলমান বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়াও অসম্ভব। অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি টানা চারটি টেস্ট হেরেছে। পাশাপাশি ভারত দলে আছে অজিঙ্কা রাহানে, যে অস্ট্রেলিয়ায় স্মরণীয় সিরিজ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে।”
“সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, প্রতিটি রেডিও স্টেশন, টেলিভিশন চ্যানেল ও সব নিউজ চ্যানেলে একটা বিষয় নিয়েই গভীর আলোচনা হচ্ছে-কি হওয়া উচিত। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া খুব কঠিন কাজ আর দুর্ভাগ্যবশত, এর ধরনই এমন। এতে মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে, তাই কোহলির এতে কান দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে অবশ্যই দ্বিতীয় টেস্টে দলকে জিতিয়ে বিতর্কটা কিছুটা সে কমাতে পারে।”
শনিবার চেন্নাইয়ে শুরু হবে ইংল্যান্ড-ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট।