লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ৩ রানে জিতে তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেছে বাবর আজমের দল। রিজওয়ানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের সৌজন্যে স্বাগতিকরা করে ১৬৯ রান। রিজা হেনড্রিকসের ফিফটিতে সফরকারীরা থামে ১৬৬ রানে।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই সংস্করণে সেঞ্চুরি করলেন রিজওয়ান। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১১১ রান করেছিলেন আহমেদ শেহজাদ।
টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি দলে অনুপস্থিত অনেক নিয়মিত মুখ। দেশের মাটিতে অস্ত্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি নিতে বিশ্রাম দেওয়া হয় সিনিয়রদের। পরে অস্ট্রেলিয়া সফর স্থগিত করলেও দলে আর বদল আনেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরুতেই হারায় বাবরকে। ম্যাচের দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক। তিন ছক্কায় ঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি হায়দার আলি। অভিষিক্ত জ্যাক স্নেইমানের দারুণ ক্যাচে তিনি ফেরেন ১৬ বলে ২১ রান করে। হাল ধরতে পারেননি হুসাইন তালাত, ইফতিখার আহমেদরাও।
দলকে একাই টানেন টেস্ট সিরিজে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি করা রিজওয়ান। ৩৫ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করা ডানহাতি ব্যাটসম্যান শেষ ওভারে আন্দিলে ফেলুকওয়ায়োকে ছক্কায় উড়িয়ে সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ৬৩ বলে। মাঝে অবশ্য ৮৯ ও ৯৬ রানে দুবার পান জীবন। ৬৪ বলে তার ১০৪ রানের ইনিংসটি সাজানো ৭ ছক্কা ও ৬ চারে।
রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ভালো হয়েছিল। ৫৩ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন ইয়ানেমান মালান ও রিজা হেনড্রিকস। সপ্তম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে মালানকে (২৯ বলে ৪৪) বোল্ড করে জুটি ভাঙেন উসমান কাদির। এই লেগ স্পিনার পরের ওভারে ফিরিয়ে দেন স্নেইমানকে।
বেশিক্ষণ টেকেননি অভিজ্ঞ ডেভিড মিলারও। ফাহিম আশরাফের স্লোয়ারে হন কট বিহাইন্ড। দলকে টানছিলেন এরপর হেনড্রিকস। ফিফটির পর দুর্দান্তভাবে তাকে (৪২ বলে ৫৪) রান আউট করেন রিজওয়ান।
শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ফাহিমের প্রথম দুই বলে দুটি সিঙ্গেল আসার পর ছক্কায় ওড়ান ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস। পরের বলে আসে ১ রান। পঞ্চম বলে চার হাঁকান ফোরটান। শেষ বলে ৬ রানের সমীকরণে ২ রানের বেশি নিতে পারেননি তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৬৯/৬ (রিজওয়ান ১০৪*, বাবর ০, হায়দার ২১, তালাত ১৫, ইফতিখার ৪, খুশদিল ১২, ফাহিম ৪, নওয়াজ ৩*; ফোরটান ৩-০-২৫-১, প্রিটোরিয়াস ২-০-১৩-০, ফেলুকওয়ায়ো ৪-০-৩৩-২, সিপামলা ৪-০-৩৭-১, স্নেইমান ১-০-১২-০, ডালা ২-০-২৫-০, শামসি ৪-০-২০-১)
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৬৬/৬ (মালান ৪৪, হেনড্রিকস ৫৪, স্নেইমান ২, মিলার ৬, ক্লাসেন ১২, ফেলুকওয়ায়ো ১৪, প্রিটোরিয়াস ১৫*, ফোরটান ১৭*; নওয়াজ ৪-০-২১-০, রউফ ৪-০-৪৪-২, শাহিন আফ্রিদি ৪-০-৩৭-০, কাদির ৪-০-২১-২, খুশদিল ১-০-৬-০, ফাহিম ৩-০-৩৭-১)
ফল: পাকিস্তান ৩ রানে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে পাকিস্তান ১-০ তে এগিয়ে
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ রিজওয়ান।