ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে তামিম ইকবালের উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী ছিলেন সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ফিফটিও করেছিলেন। মিরপুরেও জুটি বাঁধার কথা ছিল এই দুজনের। কিন্তু চোট নিয়ে এই টেস্ট থেকে ছিটকে যান সাদমান। দলে বিকল্প ওপেনার ছিলেন সাইফ, মিরপুরের একাদশে তার সুযোগ পাওয়া হওয়ার কথা ছিল স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
কিন্তু অনুমিত চিত্রনাট্য অনুসরণ করেনি দল। সাকিব আল হাসানের বদলি হিসেবে স্কোয়াডে আসা সৌম্য জায়গা পেয়ে গেছেন একাদশেও। সঙ্গে একাদশে ফিরেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। যেহেতু মিঠুন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, একাদশে তাকে সাকিবের বদলি ধরে নেওয়া যায়, ওপেনিংয়ে সাদমানের বদলে সৌম্য।
প্রশ্ন উঠছে এখানেই, সাদমানের জায়গায় সাইফ কেন নয়? বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে কারণ ব্যাখ্যা করলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন।
“ একাদশ নির্বাচন তো মূলত টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। আমরা স্কোয়াড গড়ি। তবে যতটুকু জানি, সাইফকে খুবই নড়বড়ে মনে হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের। প্র্যাকটিস ম্যাচটায় সে ভালো ব্যাট করেনি, নেটেও তাকে খুব আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি ম্যানেজমেন্টের।”
টেস্ট সিরিজের আগে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটিতে সাইফের ব্যাটিং অস্বস্তিময় ছিল বটে। নেট অনুশীলনেও খুব স্বচ্ছন্দ ছিলেন না পুরো সময়। তবে সেসব খুব অস্বাভাবিকও নয়। দীর্ঘ বিরতির পর ব্যাটসম্যানদের এরকম সময় আসতেই পারে। মূল স্কোয়াডে যখন জায়গা হয়েছে, নিশ্চয়ই তার সামর্থ্যে নির্বাচকদের আস্থা আছে!
আস্থার সঙ্কট এখনও নেই, দাবি মিনহাজুলের। তার মতে, সাইফের সুযোগও আসবে।
“ সাইফ কিন্তু সিস্টেমের মধ্যেই আছে। জাতীয় দলের সঙ্গে রেখে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ওকে। সামনে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল আসছে, সেখানে চার দিনের ম্যাচে সে খেলবে। হাই পারফরম্যান্স ইউনিটে রাখা হয় নিয়মিতই। আমাদের পরিকল্পনায় সাইফ ভালোমতোই আছে। ওকে সেটা বলাও হয়েছে।”
“হয়তো অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকায় টিম ম্যানেজমেন্ট এই টেস্টে সৌম্যকে নিয়েছে। বোলিংটাও আছে সৌম্যর। ট্যাকটিক্যাল সিদ্ধান্ত হতে পারে। সাইফও নিশ্চয়ই সুযোগ পাবে সামনে।”