ঢাকা টেস্টের প্রথম সেশনে সাফল্য এই একটিই। আক্রমাণাত্মক ব্যাটিং করা জন ক্যাম্পবেলকে এলবিডব্লিউ করেছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
লাঞ্চে যাওয়ার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ২৯ ওভারে ১ উইকেটে ৮৪ রান। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ৮২ বলে চারটি চারে খেলছেন ৩৯ রানে। এসেই বাউন্ডারি হাঁকানো শেন মোজলি ২৫ বলে করেছেন ৬।
প্রথম ঘণ্টায় ১৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সময় ক্যাম্পবেল ও ব্র্যাথওয়েটের ব্যাট থেকে আসে আটটি চার ও একটি ছক্কা। বোলিংয়ে নিয়ে একটু অধৈর্য ছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। প্রথম ঘণ্টাতেই আক্রমণে আনেন চার মূল বোলারের সবাইকে।
ওভারে একটি-দুটি বাজে ডেলিভারির প্রবণতা থেকে বের হতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। দ্বিতীয় ঘণ্টায় অবশ্য কিছুটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে পেরেছেন তারা। এই সময়ে ১৪ ওভারে এসেছে ২৯ রান।
প্রথম ঘণ্টায় তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলে ফেরা পেসার আবু জায়েদ চৌধুরির বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বাঁচেন ক্যাম্পবেল। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা গেছে লেগ স্টাম্পের উপর দিয়ে যেত বল।
তাকেই পরে এলবিডব্লিউ করেন তাইজুল। বাঁহাতি স্পিনারকে সুইপ করতে চেয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান ওপেনার। ব্যাটে খেলতে পারেননি। আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেওয়ার পর রিভিউ নেন ক্যাম্পবেল।
বল ব্যাট পার হওয়ার সময় আল্ট্রাএজে মৃদু স্পাইক দেখা গেছে। তবে সেটিকে ব্যাটের স্পর্শের জন্য নয় বলে ধরে নেন তৃতীয় আম্পায়ার। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় বল লাগত স্টাম্পে। নষ্ট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটি রিভিউ। ভাঙে ৬৬ রানের শুরুর জুটি।
এই সিদ্ধান্তের পর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় ফিল সিমন্সকে। চতুর্থ রেফারির কাছে এসে উত্তেজিত ভঙ্গিতে কথা বলেন ক্যারিবিয়ান কোচ।
৬৮ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় ৩৬ রান করেন ক্যাম্পবেল।
মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি মারেন নতুন ব্যাটসম্যান মোজলি। তবে এরপরই গুটিয়ে নেন নিজেকে। অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েটও গুটিয়ে রেখেছেন নিজেকে। তবে দুই জনই খেলছেন আস্থার সঙ্গে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (লাঞ্চ পর্যন্ত):
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৯ ওভারে ৮৪/১ (ব্র্যাথওয়েট ৩৯*, ক্যাম্পবেল ৩৬, মোজলি ৬*; আবু জায়েদ ৭-২-১৯-০, মিরাজ ৪-১-১৪-০, নাঈম ৯-১-২৮-০, তাইজুল ৯-২-২১-১)।