রেকর্ড বইয়ে মেয়ার্স ও উইন্ডিজের ঝড়

চট্টগ্রাম টেস্টে কাইল মেয়ার্সের দুর্দান্ত অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবিশ্বাস্য জয়ে ওলট-পালট হয়েছে রেকর্ড বইয়ের অনেক পাতা। অভিষেকেই মেয়ার্স আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন ক্রিকেট ইতিহাসে। 

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2021, 01:23 PM
Updated : 7 Feb 2021, 04:01 PM

৩৯৫

এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি রান তাড়ায় জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ৩৯৫। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৭ সালে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৮৮ তাড়া করে শ্রীলঙ্কার জয়।

বাংলাদেশে আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০০৮ সালে, এই জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামেই ৩১৭ রান তাড়ায় নিউ জিল্যান্ডের জয়।

রান তাড়ায় টেস্ট ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ জয় এটি। রেকর্ডের চূড়ায়ও আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যান্টিগায় জিতেছিল তারা ৪১৮ রান তাড়ায়। সেই জয়ও ছিল ৩ উইকেটে।

এই নিয়ে ৭ বার টেস্টে তিনশর বেশি রান তাড়ায় জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বোচ্চ ৯ বার জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।

টেস্ট অভিষেকে চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যান কাইল মেয়ার্স।

ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে আগের সর্বোচ্চ ছিল ১৯৫৯ সালে ভারতের আব্বাস আলি বেগের ১১২।

অভিষেকে চতুর্থ ইনিংসে সেঞ্চুরি মেয়ার্সের আগে ছিল সাত জনের। সবশেষ ২০১২ সালে করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ দু প্লেসি।

চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরিতে দলকে জয় এনে দেওয়া দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান মেয়ার্স। তার অপরাজিত ২১০ রান একই সমীকরণে টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।

অল্পের জন্য পূর্বসূরি কিংবদন্তি গর্ডন গ্রিনিজের রেকর্ড নিজের করে নিতে পারেননি মেয়ার্স। ১৯৮৪ সালে লর্ডসে ৩৪২ রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৯ উইকেটের জয়ে গ্রিনিজ অপরাজিত ছিলেন ২১৪ রানে।

অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি করা ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান কাইল মেয়ার্স।

সবার আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন ইংল্যান্ডের টিপ ফস্টার। ১৯০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই ইংলিশ ব্যাটসম্যানের ২৮৭ এখনও অভিষেকে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড।

এরপর ১৯৭২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লরেন্স রো করেছিলেন ২১৪, ১৯৮৭ সালে শ্রীলঙ্কার ব্রেন্ডন কুরুপ্পু অপরাজিত ২০১, ১৯৯৯ সালে নিউ জিল্যান্ডের ম্যাথু সিনক্লেয়ার ২১৪ ও ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক রুডলফ খেলেন অপরাজিত ২২২ রানের ইনিংস।

অভিষেকে পাঁচ নম্বরে নেমে ডাবল সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ব্যাটসম্যার মেয়ার্স। টিপ ফস্টারের ২৮৭ ছিল পাঁচে নেমেই।

অভিষেকে পাঁচে নেমে তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস পাকিস্তানের জাভেদ মিয়ানদাদের ১৬৩।

বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা চতুর্থ ব্যাটসম্যান মেয়ার্স।

অভিষেকে ২০০১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে মুলতানে সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানের তৌফিক উমর, ২০০৩ সালে করাচিতে পাকিস্তানেরই ইয়াসির হামিদ করেছিলেন দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি, ২০০৩ সালে করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক রুডলফ।

অভিষেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান মেয়ার্স। আগের ডাবল সেঞ্চুরিয়ানও কীর্তিটি গড়েছিলেন চট্টগ্রামের এই জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে, ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জ্যাক রুডলফ অপরাজিত ২২২।

২১০ রানের ইনিংসে ৭টি ছক্কা মেরেছেন মেয়ার্স, অভিষেকে যা টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

২০০৮ সালে নেপিয়ারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দশে নেমে ৪৮ বলে ৭৭ রানের ইনিংসে ৯টি ছক্কা মেরেছিলেন টিম সাউদি।

২১৬

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড মেয়ার্স ও এনক্রুমা বনারের ২১৬ রানের জুটি।

দুই অভিষিক্ত ক্রিকেটারের জুটির বিশ্বরেকর্ডে এই জুটি আছে দুইয়ে। ১৯৬৪ সালে উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানের খালিদ ইবাদুল্লাহ ও আব্দুল কাদিরের ২৪৯ রানের জুটি এখনও এগিয়ে।

চতুর্থ ইনিংসে দুই অভিষিক্তের জুটির আগের রেকর্ড ছিল ২০০৩ সালে পাকিস্তানের ইয়াসির হামিদ ও মোহাম্মদ হাফিজের ১৩৪। সেটিও বাংলাদেশের বিপক্ষেই।

৪৩০

ঘরের মাঠে প্রথম ইনিংসে এত রান করে আগে হারেনি বাংলাদেশ। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফতুল্লার হার ছিল প্রথম ইনিংসে ৪২৭ রান করে।

ইনিংস ঘোষণা করার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার টেস্ট হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রানে ইনিংস ঘোষণার পর হেরেছিল দল।