সিনিয়রদের পরামর্শে ‘বুক বড় হয়ে যায়’ মিরাজের

বেশ কিছুদিন আগে থেকে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। টেস্ট সিরিজের আগে তাকে কিছু পরামর্শ দেন তামিম ইকবাল। টেস্টের দ্বিতীয় দিনে উইকেটে যাওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পান সাকিব আল হাসানের কাছ থেকে। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির পর মিরাজ কৃতজ্ঞতাভরে জানালেন, সিনিয়রদের কাছ থেকে পাওয়া প্রেরণার কথা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Feb 2021, 02:08 PM
Updated : 4 Feb 2021, 06:35 PM

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে মিরাজ উপহার দেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। আটে নেমে তার ১০৩ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে এনে দেয় ৪৩০ রানের পুঁজি।

দ্বিতীয় দিন শেষে মিরাজ জানালেন, গত কিছুদিনে ব্যাটিং নিয়ে কাজ করা ও সিনিয়রদের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ বড় অবদান রেখেছে তার ব্যাটিংয়ের উন্নতিতে।

“মুশফিক ভাই যখন আগে আগে প্র্যাকটিসে আসতেন, তখন আমাকে নিয়ে আসতেন। উনি নিজে ব্যাটিং করতেন, আমাকেও করাতেন। এক সপ্তাহ আগেও তার সঙ্গে অনেক কাজ করেছি ব্যাটিং নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, আমি যেন পেস বল সোজা ব্যাটে খেলি এবং বাইরের বল তাড়া না করি। খোঁচা যেন না দেই। সবসময় যেন মনোযোগ ধরে রাখি, প্রতিটি বল ধরে যেন খেলি।”

“সেদিন তামিম ভাই একটা টিপস দিয়েছিলেন, জোরে বলগুলি শরীরের ভেতর আসলে কীভাবে খেলতে হবে। তিনি বলেছেন যে শরীরের ভেতর বলগুলি যেন সোজা খেলি, ব্যাট না ঘুরিয়ে দেই। আজকে সেটাই করার চেষ্টা করেছি। গ্যাব্রিয়েল যখন শরীরে আক্রমণ করেছে, তখন যতটুকু সম্ভব সোজা রাখতে পেরেছি (ব্যাট) এবং বল ছাড়তে পেরেছি।”

দ্বিতীয় দিন সকালেই লিটন দাস আউট হওয়ার পর উইকেটে যান মিরাজ। উইকেটে যাওয়ার আগেই মুশফিক তাকে বার্তা দেন ভালো স্কোর করার।

“ব্যাটিংয়ে নামার আগে মুশফিক ভাই আমাকে সাহস দিয়েছেন যে ‘এই উইকেটে সুযোগ আছে, ৬০-৭০ রান করে নট আউট থাকতে পারবি, ভালো স্কোর করতে পারবি।”

ব্যাটিংয়ে নামার পর মিরাজ সঙ্গী হিসেবে পান সাকিবকে। অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ তার কাজ সহজ করে দেয় বলে জানালেন মিরাজ।

“উইকেট যাওয়ার পর আমি একটু নার্ভাস ছিলাম। সাকিব ভাইকে বলছিলাম যে, ‘ভাই, কি করব?’ সাকিব ভাই বলছিলেন স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলতে। যদি আত্মবিশ্বাসী থাকি যে শট মারলে পার হয়ে যাবে, তাহলেই যেন মারি। যে শটই খেলি, বিশ্বাস নিয়ে যেন খেলি।”

“আমি হয়তো ভাবছিলাম যে, নিজের চাপ কমানোর জন্য স্লগ সুইপ খেলব। সাকিব ভাই বললেন স্লগ সুইপ না খেলে প্যাডল সুইপ খেলতে। তখন আমার চিন্তাটা কাজ করল যে প্যাডল সুইপ করলে ঝুঁকি কম। এই ছোট ছোট ব্যাপারগুলি খুব সাহায্য করে। এগুলো অনেক সাহস দিয়েছে।”

সিনিয়রদের এভাবে পাশে পাওয়াকে তরুণদের জন্য বড় প্রেরণা মানছেন মিরাজ।

“ড্রেসিংরুম থেকে সিনিয়ররা যখন জুনিয়রদের এভাবে ব্যাক আপ করেন, যখন পুশ করেন, পাশে থাকেন, তখন কিন্তু আমাদের জুনিয়রদের বুক অনেক বড় হয়ে যায়। পারফর্ম করতে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করা যায়।”