চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৩০ রানের পর দ্বিতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২ উইকেটে ৭৫।
২৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ব্র্যাথওয়েট ও অভিষিক্ত এনক্রুমা বনার গড়েন ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে ব্যাট করে ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন ব্র্যাথওয়েট।
একাদশের একমাত্র পেসার মুস্তাফিজ দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশকে এনে দেন দুর্দান্ত শুরু। অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করে দেন তিনি বাঁহাতি ওপেনার জন ক্যাম্পবেলকে (৩)।
একটু পর মুস্তাফিজের শিকার তিনে নামা শেন মোজলি। বাঁহাতি পেসারের দুর্দান্ত ইয়র্কারের জবাব পাননি অভিষিক্ত মোজলি (২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে প্রতিরোধ গড়েন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ও এনক্রুমা বনার।
ব্র্যাথওয়েটের ৪৯ রানে চার ৭টি। বনার অপরাজিত ১৭ রানে।
বাংলাদেশের স্পিনাররা এ দিন খুব কার্যকর হতে পারেননি। বোলিং তাদের খারাপ হয়নি, তবে মন্থর উইকেটে টার্নও ছিল ধীরগতির। ক্যারিবিয়ানরা তাই সামলে নিয়েছেন এ দিনের মতো। তৃতীয় দিনে উইকেট আচরণের ওপর নির্ভর করবে হয়তো অনেক কিছু।
ক্যারিবিয়ানরা ব্যাটিংয়ে নামার আগে বাংলাদেশ স্বস্তি পায় মিরাজের শতরানে। সকালের লিটন দাসের বিদায়ের পর লাঞ্চের আগে সাকিব আল হাসানও যখন ফিরলেন ৬৮ রানে, বাংলাদেশের রান ছির ৭ উইকেটে ৩১৫। সেখান থেকে লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে মিরাজ দলকে এনে দেন ৪৩০ রানের পুঁজি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ২৪২/৫) ১৫০.২ ওভারে ৪৩০ (সাকিব ৬৮, লিটন ৩৮, মিরাজ ১০৩, তাইজুল ১৮, নাঈম ২৪, মুস্তাফিজ ৩; রোচ ২০-৫-৬০-১, গ্যাব্রিয়েল ২৬-৪-৬৯-১, কর্নওয়াল ৪২.২-৫-১১৪-২, মেয়ার্স ৭-২-১৬-০, ওয়ারিক্যান ৪৮-৮-১৩৩-৪, ব্র্যাথওয়েট ৪-০-১৩-০, বনার ৩-০-১৬-১)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৯ ওভারে ৭৫/২ (ব্র্যাথওয়েট ৪৯*, ক্যাম্পবেল ৩, মোজলি ২, বনার ১৭*; মুস্তাফিজ ৮-২-১৮-২, সাকিব ৬-১-১৬-০, মিরাজ ৭-২-২৪-০, তাইজুল ৫-২-৯-০, নাঈম ৩-০-৭-০)।