মুমিনুলের পছন্দ আগ্রাসী নেতৃত্ব

আচমকা পাওয়া নেতৃত্ব, বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক বড় হারের ধাক্কা। টেস্ট অধিনায়কত্বের শুরুটায় টালমাটাল ছিলেন মুমিনুল হক। তবে ম্যাচ বেশি খেলতে না পারলেও এখন সময় গড়িয়েছে অনেক। বদলেছে প্রেক্ষাপট। এবার নিজের ঘরানা তৈরি করতে চান মুমিনুল। তার পছন্দ আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্ব।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2021, 10:53 AM
Updated : 2 Feb 2021, 10:53 AM

সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞায় ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত সফরের আগে হুট করেই নেতৃত্ব পান মুমিনুল। ওই ভারত সফর ও পরে পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ তিনটি টেস্টেই যাচ্ছেতাইভাবে হারে ইনিংস ব্যবধানে। মুমিনুলের নিজের পারফরম্যান্সও ছিল হতাশাজনক।

মার্চে তুলনামূলক দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্বস্তির জয় ধরা দেয়। মুমিনুল করেন সেঞ্চুরি। সেখান থেকে নেতৃত্বে থিতু হয়ে এগিয়ে যাওয়ার পালা, তখনই কোভিডের প্রকোপ থামিয়ে দেয় ক্রিকেট।

এরপর এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে প্রায় ১ বছর পর টেস্টে ফিরছে বাংলাদেশ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাকিব ফিরলেও নেতৃত্বে রয়ে গেছেন মুমিনুলও। বোর্ডের আস্থা পেয়ে মুমিনুল নিজেও এখন আত্মবিশ্বাসী। এখন সুযোগ পাচ্ছেন সামনে তাকানোর, নিজের মতো করে পরিকল্পনা করার।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট শুরুর আগের দিন তিনি জানিয়ে দিলেন, কীভাবে ছাপ রাখতে চান তিনি।

“আমি সবসময় আগ্রাসী অধিনায়কত্ব করতে পছন্দ করি। রক্ষণাত্মক অধিনায়কত্ব আমার অতটা (পছন্দ নয়)… ম্যাচের পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় অন্যরকম হয়। তবে আমি আক্রমণাত্মক থাকতেই পছন্দ করি।”

বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মুমিনুলের নেতৃত্বের উন্নতির জন্য সাকিব, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমদের মতো সিনিয়রদের সমর্থন ও পাশে থাকা সবচেয়ে জরুরি। কোচের কথার প্রসঙ্গে মুমিনুল বললেন, সিনিয়রদের ভূমিকায় তিনি সন্তুষ্ট।

“সিনিয়র যারা আছেন, তারা অনেক দিন থেকে ক্রিকেট খেলছেন। সবাই পেশাদার। আমার চাওয়ার কিছু নেই। উনারাই জানে কীভাবে আমাকে সহায়তা করতে হবে। আমার বাড়তি কিছু চাওয়ার দরকার নেই। আমি খুবই খুশি উনারা আমাকে যেভাবে সমর্থন করছেন, প্রতিটি পরিস্থিতি সামলাতে যেভাবে পাশে থাকছেন।”