আগামী মার্চে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। মঙ্গলবার নতুন সূচিতে সিরিজটি খেলতে চাওয়ার কথা জানায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে এই সিরিজ খেলতে দেশ ছাড়ত অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ধাক্কার সঙ্গে এখন লড়াই করছে। আর তাই এই মুহূর্তে ঝুঁকি না নিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া, জানান সিএ এর অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী নিক হকলি।
“সিদ্ধান্তটি খুব সহজে নেওয়া হয়নি। আমরা অত্যন্ত হতাশ, বিশেষ করে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব, ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আমাদের মূল্যবান সম্পর্ক এবং উদ্বোধনী আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমাদের চাওয়া; সব মিলিয়ে।”
ফাইনাল নিশ্চিত করা নিউ জিল্যান্ড শতকরা ৭০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে আছে। অস্টেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ স্থগিত হওয়ায় তাদের তিনে নামার আর কোনো সুযোগ নেই।
শতকরা ৭১.৭০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ভারত। দেশের মাটিতে দলটি খেলবে শতকরা ৬৮.৬৭ পয়েন্ট নিয়ে চারে থাকা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ফাইনালে উঠতে চার টেস্টের সিরিজে ভারতকে পেতে হবে ৭০ পয়েন্ট। আর ইংল্যান্ডের দরকার ৮৭ পয়েন্ট। প্রতি সিরিজে পয়েন্ট কেবল ১২০। তাই একই সঙ্গে ভারত ও ইংল্যান্ডের ফাইনালে খেলার সুযোগ নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজটি স্থগিত হওয়া মানে অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে খেলা এখন আর নিজেদের হাতে নেই। শতকরা ৬৯.১৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা দলটিকে এখন তাকিয়ে থাকতে হবে ইংল্যান্ড-ভারতের চার টেস্টের সিরিজের দিকে। সিরিজটি ড্র, ইংল্যান্ড ১-০, ২-০ বা ২-১ কিংবা ভারত ১-০ তে জিতলে অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল খেলবে।
এই নিয়ে ঘরের মাঠে দুটি বড় সিরিজ বাদ হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। কদিন আগে ইংল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজের মাঝ পথে দেশে ফিরে যায় স্বাগতিক ক্রিকেটার ও হোটেল স্টাফের কোভিড-১৯ ধরা পড়ার পর।
গত ১২ মাসে অস্ট্রেলিয়ারও এটি স্থগিত হওয়া দ্বিতীয় সফর। গত বছর তারা বাংলাদেশ সফরকে না করেছিল। সেই সফরের নতুন সূচি এখনও দেওয়া হয়নি।