মুমিনুলের টেস্ট নেতৃত্ব পাওয়া ছিল দেশের ক্রিকেটের ঘোর এক সঙ্কটের সময় আপদকালীন ব্যবস্থা। ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত সফরের ঠিক আগে সেই সময়ের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার খবর এলে মুমিনুলকে দায়িত্ব নিতে হয় হুট করেই।
ওই ভারত থেকে পরে চারটি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুমিনুল। গত ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি ছাড়া বাকি তিন টেস্টেই বাংলাদেশকে হারতে হয় যাচ্ছেতাই ভাবে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির আগে হেরে যাওয়া ম্যাচগুলোয় তার নিজের পারফরম্যান্সও ছিল বাজে।
এরপর কোভিডের প্রকোপে পড়া বিরতিতে বন্ধ ছিল খেলা, মুমিনুলও নিজেকে তুলে ধরতে পারেননি আর। প্রায় ১ বছর পর বাংলাদেশ আবার যখন টেস্ট খেলতে নামছে, সাকিব ফেরার পরও বিসিবি আপাতত আস্থা রেখেছে মুমিনুলের ওপর। তবে যথারীতি এই নতুন শুরুতেও থাকছে কৌতূহল ও প্রশ্ন।
ডমিঙ্গোর মনে অবশ্য কোনো সংশয় নেই। চট্টগ্রামে সোমবার অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ কোচ জানিয়ে দিলেন মুমিনুলের ব্যক্তিত্ব আর ব্যাটসম্যানশিপে তার ভরসার কথা।
“সে খুবই দল-কেন্দ্রীক, আমার মতে যা একজন ভালো নেতার মূল উপকরণ। সে যদি দলের প্রতি মনোযোগ দেয় ও দলের উন্নতির চেষ্টা করে, তার অবশ্যই সুযোগ আছে (অধিনায়ক হিসেবে ভালো করার)।”
নেতা মুমিনুলের গড়ে ওঠার এই পরিক্রমায় দলের তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের বড় ভূমিকা দেখতে চান ডমিঙ্গো।
“মুমিনুলের অধিনায়কত্বের উন্নতিতে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সমর্থনকে আমি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। দলের বেশ কজন ১০-১২ বছর ধরে খেলছে। সাকিব, তামিম, মুশফিকদের সহায়তা মুমিনুলের জন্য সর্বোচ্চ জরুরি। তারা ওকে বিকল্প দেখাতে পারে, নিদের্শনা দিতে পারে এবং পাশে থাকতে পারে, বিশেষ করে যখন পরিস্থিতি কঠিন।”
অধিনায়ক মুমিনুলের নতুন পরীক্ষা শুরু বুধবার থেকে। সেদিন থেকেই শুরু চট্টগ্রাম টেস্ট।