শেষ বেলায় দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে দ. আফ্রিকা

জমে গিয়েছিল এইডেন মারক্রাম ও রাসি ফন ডার ডাসেনের জুটি। জেগেছিল প্রথম ইনিংসের হতাশা কাটিয়ে প্রতিপক্ষকে বড় লক্ষ্য দেওয়ার আশা। কিন্তু জুটি ভাঙতেই যেন পথ হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ বেলায় দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে করাচি টেস্টে চাপে পড়েছে সফরকারীরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2021, 01:30 PM
Updated : 28 Jan 2021, 01:30 PM

প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪ উইকেটে ১৮৭। তাদের লিড কেবল ২৯ রানের, হাতে ৬ উইকেট। অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক এখনও খুলতে পারেননি রানের খাতা, তার সঙ্গে কেশভ মহারাজ খেলছেন ২ রানে।

শেষ বিকেলে মাত্র ১০ রানের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় ৩ উইকেট। মারক্রাম ৭৪ ও ফন ডার ডাসেন করেন ৬৪। এগারো নম্বরে নেমে ৩৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৫৮ রানের লিড এনে দিতে অবদান রাখা ইয়াসির শাহ পরে বল হাতে নেন ৩ উইকেট। 

করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটে ৩০৮ রান নিয়ে বৃহস্পতিবার দিন শুরু করে পাকিস্তান। শেষ দুই উইকেটে এ দিন তারা যোগ করে আরও ৭০ রান। নুমান আলির সঙ্গে দশম উইকেটে ৫৫ রানের জুটিতে দলকে দেড়শ ছাড়ানো লিড এনে দেন ইয়াসির।

দিনের শুরুতে হাসান আলিকে বোল্ড করে বলের হিসাবে তৃতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে ২০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন কাগিসো রাবাদা। পরে অভিষিক্ত নুমানকে (২৪) ফিরিয়ে ইনিংস গুটিয়ে দেন মহারাজ। ৩৭ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির।

পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মারক্রাম ও ডিন এলগার যোগ করেন ৪৮ রান। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে আঙুলে আঘাত পাওয়ার পর স্বস্তিতে খেলতে পারছিলেন না এলগার। ইয়াসিরের বলে কিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরেন তিনি ২৯ রান করে।

ধৈর্যের প্রতিমূর্তি হয়ে মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে থেকে দলকে এগিয়ে নেন মারক্রাম ও ডাসেন। মারক্রাম ফিফটি পূর্ণ করেন ১৫৮ বলে। ১২৩ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন ডাসেন। ফিফটির পর তাকে একবার এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার, বেঁচে যান তিনি রিভিউ নিয়ে।

শেষ ঘণ্টায় এলোমেলো হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ডাসেনকে (১৫১ বলে ৬৪) ফিরিয়ে ৫১ ওভার স্থায়ী ১২৭ রানের জুটি ভাঙেন ইয়াসির। ওই ওভারে ফাফ দু প্লেসি রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। একটু পর এই লেগ স্পিনারের বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক।

পরের ওভারে মারক্রামের প্রতিরোধ ভাঙেন নুমান। সিলি মিড অফে আবিদ আলির হাতে ধরা পড়া ওপেনারের ২২৪ বলে ৭৪ রানের ইনিংস গড়া ১০টি চারে। বাকি সময়ে আর কোনো বিপদ হতে দেননি ডি কক ও মহারাজ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ২২০

পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১১৯.২ ওভারে ৩৭৮ (আগের দিন ৩০৮/৮)  (হাসান ২১, নুমান ২৪, ইয়াসির ৩৮*; রাবাদা ২৭-৭-৭০-৩, নরকিয়া ২৭-৪-১০৫-২, এনগিডি ১৭-১-৫৭-২, মহারাজ ৩২.৪-৪-৯০-৩, লিন্ডে ১৩-৪-৩৮-০, মারক্রাম ৩-০-১০-০)।

দক্ষিণ আফ্রিকা ২য় ইনিংস: ৭৫ ওভারে ১৮৭/৪ (মারক্রাম ৭৪, এলগার ২৯, ফন ডার ডাসেন ৬৪, দু প্লেসি ১০, মহারাজ ২*, ডি কক ০*; আফ্রিদি ১৩-১-৪৮-০, হাসান ১২-১-৫০-০, নুমান ২০-৭-২৭-১, ইয়াসির ২৪-৬-৫৩-৩, ফাহিম ৬-৩-৮-০)।