৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে প্রথম ওয়ানডেতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন সাকিব। পরের ম্যাচে ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পুরস্কার জেতেন মিরাজ। এই দুই জনই প্রতিপক্ষের বেশ চেনা।
সাকিব খেলেছেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন নিয়মিত। বয়সভিত্তিক দল থেকে মিরাজকে চেনে ক্যারিবিয়ানরা। সফরকারীরা আগে থেকেই জানত, এই দুই জনকে সামলানো হবে বড় চ্যালেঞ্জ। এরপরও তাদের স্পিনেই ঘায়েল হওয়ায় হতাশ ইস্টউইক।
“আমরা জানি, সাকিব কী করতে পারে। সিপিএলে এবং আমাদের বিপক্ষে অনেক বছর খেলেছে। দলের কেউ কেউ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে মিরাজকে চেনে। আমরা দুই জনকেই চিনি।”
“(তাদের সামলাতে) ক্রিজ ব্যবহার, প্রান্ত বদলের মতো কাজগুলোর জন্য আমাদের তৈরি থাকা দরকার ছিল। কিন্তু আমরা এই কাজগুলো করতে পারিনি।”
টানা দুই ম্যাচে দেড়শ রানের নিচে অলআউট হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কোনোটিতেই ব্যাট করতে পারেনি পুরো পঞ্চাশ ওভার। ব্যাটিং নিয়ে বাড়তি দুর্ভাবনায় আছে সফরকারীরা। চট্টগ্রামের উইকেট পরিস্থিতি পাল্টানোর আশা দেখাচ্ছে ইস্টউইককে।
“ঢাকার চেয়ে এখানকার পিচ ভালো মনে হচ্ছে। আমরা বড় স্কোর এবং ভালো ব্যাটিং কন্ডিশন আশা করছি।”
“ব্যাটিং নিয়ে তো অবশ্যই দুর্ভাবনা আছে। আমাদের স্বীকার করতে হবে, আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করিনি। জুটি গড়তে পারিনি, কোনো ধরনের ছন্দ খুঁজে পাইনি। নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি। যে রান চেয়েছিলাম, তা করতে পারিনি। বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো যথেষ্ট রান আমরা করতে পারিনি। পরের ম্যাচে এখানটায় আমাদের উন্নতি করতে হবে।”