গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ইংল্যান্ডের রান ৯ উইকেটে ৩৩৯। লঙ্কানদের চেয়ে তারা এখনও পিছিয়ে ৪২ রানে।
যে উইকেটে খাবি খেলেন সতীর্থরা, সেখানেই ব্যাটিং মাস্টারক্লাস মেলে ধরলেন রুট। আগের টেস্টে ২২৮ রানের ইনিংসের পর তার আরেকটি ডাবল সেঞ্চুরি মনে হচ্ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কোনো বোলারই থামাতে পারছিলেন না তাকে। শেষ পর্যন্ত যেভাবে থামানো যেত, হলোও যেন সেটি। ১৮৬ রানে রান আউট!
টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি রুটের ১৯তম সেঞ্চুরি। যে ইনিংসের পথে জিওফ বয়কট, কেভিন পিটারসেন ও ডেভিড গাওয়ারকে ছাড়িয়ে রুট এখন ইংলিশদের টেস্ট ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী।
রুটকে ফেরাতে না পারলেও আরেক পাশে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপে ধস নামানো এম্বুলদেনিয়ার প্রাপ্তি ৭ উইকেট। টেস্টে তার আগের সেরা ছিল ৬৬ রানে ৫ উইকেট।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসে ৭ বা এর বেশি উইকেট নেওয়া পঞ্চম বাঁহাতি স্পিনার তিনি, শ্রীলঙ্কার প্রথম।
২ উইকেটে ৯৮ রান নিয়ে দিন শুরু করে ইংল্যান্ড। তাদেরকে প্রথম ধাক্কা দেন এম্বুলদেনিয়া। ২৮ রান করা জনি বেয়ারস্টো ধরা পড়েন স্লিপে। রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় শ্রীলঙ্কা, ভাঙে রুটের সঙ্গে তার ১১১ রানের জুটি।
এম্বুলদেনিয়া টিকতে দেননি ড্যান লরেন্সকেও। ১৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড তখন টালমাটাল। রুট সেই পরিস্থিতি সামাল দেন জস বাটলারকে নিয়ে। লাঞ্চের আগে রুট সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ১৩৯ বলে।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক সেঞ্চুরি পেলেও জুটির শতরান হয়নি। ৯৭ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙে বাটলারের বিদায়ে। ৭ চারে ৫৫ করে এই কিপার-ব্যাটসম্যান ফেরেন রামেশ মেন্ডিসের বলে। অভিষিক্ত অলরাউন্ডারের এটি প্রথম উইকেট।
এরপর স্যাম কারানও ফিরে যান দ্রুত। তাকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ৫ উইকেট পূর্ণ করেন এম্বুলদেনিয়া।
ইংল্যান্ড হাল ছাড়েনি লড়াইয়ে। ডম বেসের সঙ্গে জমে ওঠে রুটের জুটি। সপ্তম উইকেটে দুজন যোগ করেন ৮১ রান। ২৫৭ বলে ১৫০ পেরিয়ে তিনি এগোতে থাকেন দুইশর দিকে।
এই জুটিও থামান এম্বুলদেনিয়া, বেসকে ফিরিয়ে দেন তিনি ৩২ রানে। পরের ওভারেই তার শিকার মার্ক উড।
দিনের শেষ ওভারে বিদায় নেন রুট। অতিরিক্ত ফিল্ডার ওশাদা ফার্নান্দোর অসাধারণ তৎপরতায় হাতছাড়া হয় তার পঞ্চম ডাবল সেঞ্চুরি। ইংলিশদের লিডের আশায় তাতে লাগে বড় চোট, উজ্জ্বল হয় লঙ্কানদের আশা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৩৮১
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১১৪.২ ওভারে ৩৩৯/৯ (আগের দিন ৯৮/২) (বেয়ারস্টো ২৮, রুট ১৮৬, লরেন্স ৩, বাটলার ৫৫, কারান ১৩, বেস ৩২, উড ১, লিচ ৯*; লাকমল ১৬-৭-৩১-০, এম্বুলদেনিয়া ৪১-৬-১৩২-৭, ফার্নান্দো ১০-২-৩১-০, দিলরুয়ান পেরেরা ৩১.২-৩-৮৬-০, মেন্ডিস ১৬-১-৪৮-১)।