প্রত্যাশিত জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৩৩.২ ওভারে ১৪৯/৩ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৩.৪ ওভারে ১৪৮)

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2021, 04:53 AM
Updated : 22 Jan 2021, 12:01 PM

ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়

তামিম ইকবালের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম মিলে জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে দিলেন বাংলাদেশকে। ৭ উইকেটের জয়ে প্রত্যাশিতভাবেই এক ম্যাচ বাকি রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিত করল দল।

অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে সাকিব-মুশফিকের জুটি ৪০ রানের। জয় এসেছে ১০০ বল বাকি রেখে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি টানা সপ্তম ওয়ানডে জয়। তাদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় টানা তৃতীয়। 

আগের ম্যাচ জিতে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে পয়েন্টের খাতা খোলা বাংলাদেশ এই জয়ে পেল আরও ১০ পয়েন্ট।

ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য বড় স্বস্তি সাকিবের রান পাওয়া। নিজের সেরা ছন্দে এ দিনও দেখা যায়নি তাকে। তবে উইকেট বিলিয়ে না দিয়ে সময় কাটিয়েছেন, সময়ের সঙ্গে সাবলিলও হয়ে উঠেছেন। ম্যাচ শেষে তিনি অপরাজিত ৫০ বলে ৪৩ রানে। মুশফিক অপরাজিত ৯ রানে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ আবারও ম্যাচ হারার আয়োজন সেরে ফেলেছে প্রথম ইনিংসেই। ব্যাটসম্যানরা মাত্র ১৪৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর বোলারদের করার ছিল সামান্যই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৪৩.৪ ওভারে ১৪৮ (আমব্রিস ৬, ওটলি ২৪, জশুয়া ৫, ম্যাককার্থি ৩, জেসন ১১, মেয়ার্স ০, বনার ২০, পাওয়েল ৪১, রিফার ২, জোসেফ ১৭, আকিল ১২*; মুস্তাফিজ ৮-৩-১৫-২, রুবেল ৭-০-২৩-০, হাসান ৯-০-৫৪-১, মিরাজ ৯.৪-০-২৫-৪, সাকিব ১০-০-৩০-২)।

বাংলাদেশ:  ৩৩.২ ওভারে ১৪৯/৩ (লিটন ২২, তামিম ৫০, শান্ত ১৭, সাকিব ৪৩*, মুশফিক ৯*; জোসেফ ১০-০-৪২-০, মেয়ার্স ২-০-১৫-০, আকিল ৯.২-০-৪৫-১, জেসন ৭-০-২৯-১, রিফার ৫-০-১৮-১)।

ফিফটির পরই আউট তামিম

ফিফটি করলেও দলের জয় পর্যন্ত উইকেটে থাকতে পারলেন না তামিম ইকবাল। আলগা শটে বাংলাদেশ অধিনায়ক উইকেট দিয়ে এলেন রেমন রিফারকে।

বাঁহাতি পেসার রিফারের বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। তামিম খেলেন কাট শট। একটু ভেতরে ঢুকে ও বাড়তি লাফিয়ে তামিমের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল যায় কিপারের গ্লাভসে।

৭৬ বলে ৫০ রান করে ফিরলেন তামিম। ১৪৯ রানের লক্ষ্যে ছুটে বাংলাদেশ ২৫.১ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৯।

তামিমের ফিফটি

আগের ম্যাচে ৪৪ রানে কাটা পড়লেও এবার ভুল করেননি তামিম ইকবাল। স্পর্শ করেছেন ফিফটি।

৭৫ বলে এসেছে তার পঞ্চাশ। অধিনায়ক হিসেবে ৫ ওয়ানডেতে তার প্রথম ফিফটি এটি।

তামিমের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৮তম ফিফটি এটি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সপ্তম। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তার সেঞ্চুরিও আছে দুটি।

বাংলাদেশের একশ

শান্তর বিদায়ের পর তামিম ও সাকিব আল হাসান অনায়াসেই এগিয়ে নিচ্ছেন দলকে। ২৩তম ওভারে দলের রান পৌঁছেছে একশতে। তামিম তখন অপরাজিত ৪৫ রানে, সাকিব ১৪।

পারলেন না শান্ত

জীবন পাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। পারলেন না তিন নম্বরে আরেকটি সুযোগ কাজে লাগাতে।

যার বলে জীবন পেয়েছিলেন, সেই জেসন মোহাম্মেদের নিরীহ এক বলেই উইকেট বিলিয়ে আসেন শান্ত। বলটি ছিল অনেকটাই শর্ট, অন সাইডে হয়তো খেলতে পারতেন যে কোনো জায়গায়। কিন্তু শান্ত ক্যাচ তুলে দেন শর্ট মিড উইকেটে।

২৬ বলে ১৭ রান করে আউট হলেন শান্ত। ভাঙল তামিমের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি। ১৬.২ ওভারে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৭৭।

জীবন পেলেন শান্ত

নাজমুল হোসেন শান্তকে ফেরানোর একটি সুযোগ এসেছিল। সেটি কাজে লাগাতে পারল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

জেসন মোহাম্মেদের বলে বেরিয়ে এসে উড়িয়ে মেরেছিলেন শান্ত। লং অফে ফিল্ডার এনক্রুমা বনার ছুটে আসতে একটু দেরি করে ফেরেন। পরে বলের কাছাকাছি গিয়েও হাতে জমাতে পারেননি।

১৪ রানে রক্ষা পেলেন শান্ত।

তামিমের মাইলফলক

ত্রয়োদশ ওভারে আক্রমণে এলেন জেসন মোহাম্মেদ। ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের প্রথম বলই দারুণ শটে বাউন্ডারিতে পাঠালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ওই শটে স্পর্শ করলেন একটি মাইলফলকও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হাজার রান!

জিম্বাবুয়ে ছাড়া এই প্রথম অন্য কোনো দলের বিপক্ষে হাজার রান ছুঁতে পারলেন বাংরাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১ হাজার ৬০৪ রান তামিমের, ১ হাজার ৪০৪ রান সাকিবের, ১ হাজার ৩৬০ রান মুশফিকের।

লিটনের বিদায়

দারুণ শুরু করেছিলেন যিনি, সেই লিটন দাস থামলেনও আগে। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করা আকিল হোসেন এবার প্রথম ওভারেই পেলেন উইকেটের দেখা।

একটু জোরের ওপর করা লেংথ বল পেছনের পায়ে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু লাইন মিস করে বসেন, বল লাগে প্যাডে। ক্যারিবিয়ানদের এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে আঙুল তোলেন আম্পায়ার গাজী সোহেল। লিটন রিভিউ নিয়েছিলেন, পাননি রক্ষা। উল্টো একটি রিভিউ হারায় বাংলাদেশ।

২৪ বলে ২২ রানে আউট হলেন লিটন। ৫.৫ ওভারে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ৩০।

প্রথম ম্যাচে আকিলেরই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছিলেন লিটন।

লিটনের আগ্রাসী শুরু

রান তাড়ায় প্রথম ৫ ওভারে উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। বেশি বলের মুখোমুখি হয়েছেন লিটন দাস, রান বাড়ানার কাজটিও করেছেন তিনি। ২২ বলে তার রান ২২। তামিম ইকবাল ৯ বল খেলে করেছেন ৪।

১৪৯ রানের লক্ষ্যে ছুটে ৫ ওভারে বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৭।

বাংলাদেশের প্রথম

প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছিল ১২২, পরের ম্যাচে ১৪৮। ওয়ানডেতে এই প্রথম এক সিরিজে প্রতিপক্ষকে টানা দুই ম্যাচে দেড়শর নিচে গুটিয়ে দিতে পারল বাংলাদেশ।

দুর্দান্ত মুস্তাফিজ

প্রথম ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এই ম্যাচেও অসাধারণ বোলিং করেন মুস্তাফিজ। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য তার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারির উন্নতির ছাপ দেখা গেছে এই ম্যাচেও। এছাড়াও সুইং, কাটার, লাইন-লেংথে তিনি ছিলেন দুর্দান্ত।

সাকিব যথারীতি ভুগিয়েছেন প্রতিপক্ষকে। রুবেল হোসেন উইকেটশূন্য টানা দ্বিতীয় ম্যাচে। তবে প্রথম ম্যাচের তুলনায় তার বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত। ধার যদিও খুব বেশি দেখা যায়নি। দারুণ অভিষেকের পর হাসান মাহমুদ এ দিন ছিলেন বিবর্ণ। দারুণ কয়েকটি ডেলিভারি যদিও তিনি করেছেন, তবে লাইন-লেংথে ছিলেন অধারাবাহিক। তাই একটু খরুচেও ছিলেন ২১ বছর বয়সী পেসার।

মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা

ওয়ানডে দলে জায়গা ধরে রাখতে চাপের মধ্যে থাকা মিরাজ দারুণভাবে মেলে ধরলেন নিজেকে। প্রথম ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১ উইকেটের পর এবার তার প্রাপ্তি ৪ উইকেট।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ৪ উইকেটের স্বাদ পেলেন এই অফ স্পিনার। দুটিই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আগেরবার সিলেটে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ২৯ রানে। এবারের ৪ উইকেট ২৫ রানে।

দেড়শর নিচে শেষ

নিজের শেষ ওভারে ফিরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ জুটির প্রতিরোধ ভাঙলেন মিরাজ। ১৪৮ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

রভম্যান পাওয়েল ও আকিল হোসেনের জুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে যাচ্ছিল দেড়শর দিকে। পাওয়েল খেলছিলেন দারুণ। কিন্তু অফ স্পিনার মিরাজকে পেয়ে বড় শট খেলার তাড়না কাল হলো তার। স্টাম্পড হয়ে গেলেন তিনি ৬৬ বলে ৪১ রান করে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস থামল ১৪৮ রানে। শেষ দুই জুটিতেই এসেছে ৫০ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৩.৪ ওভারে ১৪৮ (আমব্রিস ৬, ওটলি ২৪, জশুয়া ৫, ম্যাককার্থি ৩, জেসন ১১, মেয়ার্স ০, বনার ২০, পাওয়েল ৪১, রিফার ২, জোসেফ ১৭, আকিল ১২*; মুস্তাফিজ ৮-৩-১৫-২, রুবেল ৭-০-২৩-০, হাসান ৯-০-৫৪-১, মিরাজ ৯.৪-০-২৫-৪, সাকিব ১০-০-৩০-২)।

লেজের প্রতিরোধ ভাঙলেন মুস্তাফিজ

রভম্যান পাওয়েলের সঙ্গে মিলে ভালোই প্রতিরোধ গড়েছিলেন আলজারি জোসেফ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের সর্বোচ্চ জুটি উপহার দেন তারা নবম উইকেট। জোসেফকে ফিরিয়ে এই জুটি থামালেন মুস্তাফিজ।

অ্যাঙ্গেলে বেরিয়ে যাওয়া বলটি একটু লাফিয়ে চলে যাচ্ছিল অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে দিয়ে। জোসেফ বাড়িয়ে দেন ব্যাট। এই শটের জন্যই ওয়াইড স্লিপ বা গালির মতো জায়গায় লিটন দাসকে রেখেছিলেন অধিনায়ক তামিম। ক্যাচ নেন সেই লিটনই।

৩২ রানের জুটি ভাঙল এতে। জোসেফ ফিরলেন ১৭ রান করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৭.৩ ওভারে ৯ উইকেটে ১২০।

বাউন্ডারিতে একশ

রান খরার ইনিংসে পরপর দুই ওভারে বাউন্ডারি পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরাজকে বেরিয়ে এসে মাথার ওপর দিয়ে ছক্কায় ওড়ালেন রভম্যান পাওয়েল। পরের ওভারে সাকিবকে লং অন দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন আলজারি জোসেফ।

এই চারে একশ স্পর্শ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান, ৩২.২ ওভারে।

মিরাজের তৃতীয়

নতুন স্পেলে ফিরে প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। রিভিউ নিয়ে বাংলাদেশ ফেরাল রেমন রিফারকে।

রাউন্ড দা উইকেটে মিরাজের ঝুলিয়ে দেওয়া বল পিচ করে টার্ন না করে সোজা যায় অনেকটা। রিফারের ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে আঘাত করে প্যাডে। আম্পায়ার সাড়া দেননি আবেদনে, অনেক আলোচনা করে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। রিভিউয়ে দেখা যায়, বল ভালোভাবেই লাগছিল স্টাম্পে।

রিফার আউট হলেন ১২ বলে ২ রান করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৯.৪ ওভারে ৮ উইকেটে ৮৮।

হাসানের প্রথম

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে একটু বিবর্ণ ও খরুচে কেবল হাসান মাহমুদ। এবার তাকে উইকেট উপহার দিলেন এনক্রুমা বনার।

হাসানের এই ওভারের প্রথম বলেই দারুণ কাট শটে বাউন্ডারি আদায় করে নিয়েছিলেন বনার। ওভারের চতুর্থ বলটিও লেংথ বল পেয়ে কাট করতে যান। কিন্তু এবার বল ছিল ব্যাটসম্যানের আরও কাছে। জায়গা ততটা ছিল না। বল বনারের ব্যাটে লেগে আঘাত করে স্টাম্পে।

থিতু হয়ে যাওয়া আরেক ব্যাটসম্যান হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৫ বলে ২০ করে ফিরলেন বনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০.৪ ওভারে ৭ উইকেটে ৭১।

সাকিবের দ্বিতীয়

জেসন মোহাম্মেদ ও এনক্রুমা বনার চেষ্টা করছিলেন জুটি গড়ে তোলার। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা খুব দীর্ঘায়িত হতে দিলেন না সাকিব। আর্ম বলে ফেরালেন জেসনকে।

সাকিবের বলটি টার্ন করবে ভেবে ব্যাট পেতে দিয়েছিলেন জেসন। কিন্তু বল পিচ করে সোজা গিয়ে লাগে তার প্যাডে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দিতে খুব একটা সময় লাগেনি আম্পায়ার গাজী সোহেলের।

জেসন রিভিউ নিয়েছিলেন। কাজ হয়নি তাতে, উল্টো হারাতে হয় রিভিউ।

২৬ বরে ১১ করে ফিরলেন জেসন। ভাঙল ৩৯ বলে ২৬ রানের জুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৪ ওভারে ৬ উইকেটে ৬৭।

অবশেষে ফিফটি

ধুঁকতে ধুঁকতে অবশেষে ২০.২ ওভারে দলীয় ফিফটি স্পর্শ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

থমকে যাওয়া উইন্ডিজ

১৫ থেকে ২০ ওভারের মধ্যেও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই ক্যারিবিয়ানদের। এই ৫ ওভারে রান এসেছে ১০, উইকেট হারিয়েছে তারা ১টি। ২০ ওভার শেষে রান ৫ উইকেটে ৪৯।

রিভিউয়ে ব্যর্থ বাংলাদেশ

রিভিউ নিয়ে সফল হলো না বাংলাদেশ। বিপদ হলো না জেসন মোহাম্মেদের।

ইনিংসের ২০তম ওভার সেটি। মেহেদী হাসান মিরাজের অনেকটা ঝুলিয়ে দেওয়া বল টার্ন করে ভেতরে ঢোকে বেশ। পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন জেসন। বল লাগে প্যাডে। বাংলাদেশের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার গাজী সোহেল। রিভিউয়ে দেখা যায়, ইম্প্যাক্ট ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে।

দুটি রিভিউয়ের একটি হারাল বাংলাদেশ।

এবার আত্মঘাতী রান আউট

বিপর্যয়ের মধ্যে যখন দরকার বড় জুটি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের বিপদ আরও বাড়াল অপ্রয়োজনীয় এক রান আউটে। অযথা ঝুঁকিপূর্ণ রান নিতে গিয়ে শূন্যতে ফিরে গেলেন কাইল মেয়ার্স।

মিরাজের বল মিড উইকেটে ঠেলে রান নিতে উদ্যত হন জেসন মোহাম্মেদ। ছুটে আসেন ফিল্ডার নাজমুল হোসেন শান্ত। তাতে মুহূর্তের জন্য একটু ধন্দে পড়েন দুই ব্যাটসম্যান। সর্বনাশ হয়ে যায় এতেই। শেষ পর্যন্ত রান নিতে গিয়ে ক্রিজে সময়মতো পৌঁছাতে পারেননি মেয়ার্স। শান্তর থ্রো গ্লাভরবন্দি করে অনায়াসে বেল উড়িয়ে দেন মুশফিক।

বিপর্যস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য আরও বড় ধাক্কা। আগের ম্যাচে দলের সর্বোচ্চ স্কোরার মেয়ার্স এবার ফিরলেন ৯ বলে রান না করেই। ১৭.৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৫ উইকেটে ৪১।

পথহারা উইন্ডিজ

প্রথম ১০ ওভারে রান বেশি না এলেও উইকেট অন্তত ধরে রাখতে পেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের ৫ ওভারে সব এলোমেলো। ৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে তারা দিশাহারা।

১০ ওভারে রান ছিল ১ উইকেটে ২২। ১৫ ওভার শেষে ৪ উইকেটে রান ৩৯।

এসেই সাকিবের ছোবল

যেন ঠিক প্রথম ম্যাচের পুনরাবৃত্তি! একইভাবে দৃষ্টিকটু শট খেলে উইকেট উপহার দিলেন আন্দ্রে ম্যাককার্থি। নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের স্বাদ পেলেন সাকিব।

সাকিবের স্টাম্প সোজা ঝুলিয়ে দেওয়া বল হাঁটু গেড়ে তেড়েফুঁড়ে সুইপ করতে চাইলেন ম্যাককার্থি। বলের ধারেকাছে থাকল না ব্যাট। বল গিয়ে লাগল মিডল স্টাম্পে। দলের বিপর্যয়ের মধ্যে অবিশ্বাস্য বাজে শট ম্যাককার্থির।

৭ বলে ৩ রান করেই শেষ ম্যাককার্থি। ১৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে ৩৯।

আগের ম্যাচেও একইভাবে সাকিবকে হাঁটু গেড়ে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছিলেন ম্যাককার্থি।

এক ওভারে মিরাজের দুটি

ওটলির বিদায়ের রেশ না মিলিয়ে যেতেই ক্যারিবিয়ানদের আরেকটি ধাক্কা দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একই ওভারে তিনি ফেরালেন জশুয়া দা সিলভাকে।

বলটি এমন ভয়ঙ্কর কিছু ছিল না, কিন্তু জশুয়া নিজের বিপদ ডেকে আনেন ভুল লাইনে খেলে। ভাসিয়ে দেওয়া বল অফ স্টাম্পে পিচ করে অ্যাঙ্গেলে সোজা হয়ে ঢোকে। জশুয়া ব্যাট পেতে দেন বল টার্ন করবে ভেবে। ব্যাটের পাশ দিয়ে বল গিয়ে লাগে স্টাম্পে।

২২ বলে ৫ রান করে ফিরলেন জশুয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১৩.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৭।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ছবি: বিসিবি

ওটলিকে থামালেন মিরাজ

পাওয়ার প্লের পর রানের গতি একটু বাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন কেয়র্ন ওটলি। তার ব্যাটিংয়ে দেখা যাচ্ছিল খানিকটা অভিপ্রায়ের ছাপ। কিন্তু বেশিদূর তাকে এগোতে দিলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ।

অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বল জায়গা বানিয়ে কাভারের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ওটলি। কিন্তু যতটা ওপরে খেলতে চেয়েছিলেন, ততটা পারেননি। সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করেন অধিনায়ক তামিম।

ওটলির অভিষেক ইনিংস শেষ ৪৪ বলে ২৪ রান করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩.১ ওভারে ২ উইকেটে ৩৬।

হতে হতেও হলো না

একাদশ ওভারে হাসান মাহমুদের শর্ট বলে দুর্দান্ত পুল শটে ছক্কা মারেন কেয়র্ন ওটলি। হাসানের পরের ওভারেও একই চেষ্টায় হয়ে যায় গড়বড়। এবার বলের গতি ও বাউন্স ছিল একটু বেশি, বল লাগে ওটলির ব্যাটের কানায়। বল উঠে যায় ওপরে। ক্যাচ নিতে মিড অন থেকে মিড উইকেটের দিকে ছুটে যান তামিম ইকবাল। তবে ডাইভ দিয়েও শেষ পর্যন্ত নাগাল পাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২১ রানে রক্ষা পেলেন ওটলি।

পাওয়ার প্লেতে ‘পাওয়ার’ নেই

আগে ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জ নিলেও ২২ গজে নেমে খুব উন্নতির ছাপ পাওয়ার প্লেতে রাখতে পারেননি ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেট হারিয়ে মোটে ২২। বাউন্ডারি এসেছে কেবল ৩টি।

বেশ কিছুক্ষণ ভুগে আউট হয়ে গেছেন সুনিল আমব্রিস। অভিষিক্ত কেয়র্ন ওটলি ও তিনে নামা জশুয়া দা সিলভাও খুব সাবলিল নন।

কৃতিত্ব দিতে হবে বাংলাদেশের নতুন বলের দুই বোলারকে। বিশেষ করে মুস্তাফিজ দারুণ নিয়ন্ত্রণ, সুইং ও স্কিলের প্রদর্শনী মেলে ধরেছেন। তার প্রথম স্পেল ৪-২-২-১।

রুবেল হোসেন ততটা ধারাল যদিও নন, তবে খুব রানও দেননি। ৪ ওভারে তার খরচ ১৩ রান।

পাওয়ার প্লেতে ১ ওভার বোলিং করেছেন হাসান মাহমুদ। এক ওভার স্পিনও এনেছেন অধিনায়ক তামিম। মেহেদী হাসান মিরাজ সেই ওভারে দিয়েছে ২ রান।

প্রথম শিকার মুস্তাফিজের

প্রথম ম্যাচের মতোই সুনিল আমব্রিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।

এবার অবশ্য অপেক্ষা করতে হয়েছে পঞ্চম ওভার পর্যন্ত। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান বেশি হয়নি, কেবল ১০।

স্টাস্পে পিচ করে একটু ভেতরে ঢোকে বল। বাড়তি একুট লাফিয়ে আমব্রিসের ব্যাটের কানায় লেগে বল উড়ে যায় গালিতে। চমৎকার রিফ্লেক্স ক্যাচ নেন মিরাজ। আমব্রিসের রান ১৫ বলে ৬।

ওপেনিংয়ে পরিবর্তন

অভিষিক্ত কেয়র্ন ওটলি প্রথম ম্যাচে ইনিংস শুরু করতে নেমেছেন দলের হয়ে। তার সঙ্গী সুনিল আমব্রিস। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস শুরু করেছিলেন আমব্রিস ও জশুয়া দা সিলভা।

আম্পায়ারের অভিষেক

শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজের এক ক্রিকেটারের নয়, এই ম্যাচে অভিষেক হলো একজন আম্পায়ারেরও। প্রথম ওয়ানডে পরিচালনা করতে নেমেছেন গাজী সোহেল। এর আগে ৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে ৪১ বছর বয়সী আম্পায়ারের।

‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’

প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচের আগেও মাঠে হাঁটু গেড়ে বসে ও হাত উচিয়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে সমর্থন জানায় দুই দল।

মুশফিকের রেকর্ড

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে একটি রেকর্ডে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ছাড়িয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে থেকেই তিনি স্পর্শ করলেন মাশরাফির আরেকটি রেকর্ড।

আগের ম্যাচটি ছিল মুশফিকের ২১৯তম ওয়ানডে। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলার রেকর্ড তিনি নিজের করে নেন সেদিন। ২১৮ ওয়ানডে খেলে আগের রেকর্ড ছিল এই সিরিজেই দলে জায়গা হারানো মাশরাফির।

তবে বাংলাদেশের হয়ে ২১৮ ওয়ানডে খেললেও মাশরাফি ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ম্যাচ খেলেছেন ২২০টি। ২০০৭ আফ্রো-এশিয়া কাপে দুটি ওয়ানডে খেলেছিলেন তিনি এশিয়া একাদশের হয়ে। এই ম্যাচ দিয়ে ২২০ ম্যাচ হয়ে যাচ্ছে মুশফিকেরও। কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে খেলার রেকর্ড এখন যৌথভাবে মাশরাফি ও মুশফিকের। পরের ম্যাচ খেললেই রেকর্ডটি এককভাবে হয়ে যাবে মুশফিকের।

রৌদ্রোজ্জ্বল মিরপুর

আগের ম্যাচের দিন আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। গুমোট আবহাওয়ায় খেলা হয়েছে পুরো ম্যাচ। আজকের আবহাওয়া বেশ ভালো। সকালে দুই দল মাঠে আসার সময় যদিও রোদ ছিল না, পরে রোদের দেখা মিলেছে। কন্ডিশন তাই আগের ম্যাচের চেয়ে ভালো।

ভালো স্কোর চান জেসন, ফিল্ডিংয়ে খুশি তামিম

প্রথম ম্যাচে যে উইকেটে ১২২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেই উইকেটেই আবার আগে ব্যাটিংয়ের সাহস দেখিয়েছেন জেসন মোহাম্মেদ। টসের সময় ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জানালেন, উইকেট আগের দিনের চেয়ে বেশি ব্যাটিং সহায়ক মনে হচ্ছে তার। এবার ভালো স্কোর তারা গড়তে চান।

উইকেট আগের দিনের চেয়ে বেশি ব্যাটিং সহায়ক মনে হচ্ছে তামিম ইকবালেরও। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, টস জিতলে তিনি ফিল্ডিংই নিতেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে অভিষিক্ত আরেকজন

প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশে পরিবর্তন এনেছে একটি। পেসার একজন কমিয়ে ব্যাটিংয়ে শক্তি বাড়িয়েছে তারা। জায়গা হারিয়েছেন পেসার শেমার হোল্ডার। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন ব্যাটসম্যান কেয়র্ন ওটলি। ৩১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের এটি প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

শীর্ষ ক্রিকেটারদের ছাড়া সফরে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল ৬ জনের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: জেসন মোহাম্মেদ (অধিনায়ক), সুনিল আমব্রিস, জশুয়া দা সিলভা, আন্দ্রে ম্যাককার্থি, এনক্রুমা বনার, কাইল মেয়ার্স, রভম্যান পাওয়েল, কেয়র্ন ওটলি, রেমন রিফার, আলজারি জোসেফ, আকিল হোসেন।

পরিবর্তন নেই বাংলাদেশ দলে

প্রথম ম্যাচে জয়ী বাংলাদেশ অনুমিতভাবেই পরিবর্তন আনেনি একাদশে। পরিবর্তনের সুযোগ অবশ্য খুব একটা ছিলও না। কেবল মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ফিট হয়ে উঠলেই হয়তো তাকে বিবেচনা করা হতো। তবে সাইফ নেই একাদশে। প্রথম ম্যাচে ভালো বোলিং করতে না পারলেও রুবেল হোসেন পেয়েছেন আরেকটি সুযোগ।

বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ।
এবার টস ভাগ্য উইন্ডিজের পাশে

প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ধুঁকতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এবার টস জিতেও আগে ব্যাটিংয়ের চ্যালেঞ্জ নিলেন অধিনায়ক জেসন মোহাম্মেদ। বাংলাদেশ করবে ফিল্ডিং।

কেমন হবে উইকেট-কন্ডিশন?

প্রথম ম্যাচের প্রায় পুরো সময় আকাশ ছিল মেঘলা। চারপাশ ছিল গুমোট। দিনজুড়ে দেখা যায়নি সূর্যের মুখ। কন্ডিশনের পাশাপাশি সেদিন উইকেটও ছিল ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে। মন্থর উইকেটে টার্ন মিলেছে বেশ। স্যাঁতস্যাঁতে হওয়ায় পেসারদের জন্যও ছিল সহায়তা। শট খেলা ছির কঠিন। দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো কন্ডিশন ও উইকেটের আশা করবে দুই দলই।

মরিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ

শীর্ষ ক্রিকেটারদের ছাড়া খেলতে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য সিরিজ জিইয়ে রাখা হবে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ জিততে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ম্যাচের আগের দিন পেসার আলজারি জোসেফ বললেন তাদের তাড়নার কথা।

“ দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ভালো করতে সবাই মুখিয়ে আছে। নিজেদের মেলে ধরা আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আগের ম্যাচের চেয়েও এই ম্যাচ আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ হারলে সিরিজও শেষ। সবাই জানে তাদেরকে কী করতে হবে।”

বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের ম্যাচ

প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশিত জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শুক্রবার তারা মাঠে নামবে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াই সিরিজে টিকে থাকার।

বুধবারের ওই ম্যাচ দিয়েই আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগে অভিযান শুরু করে দুই দল। ম্যাচ জিতে পয়েন্টের খাতা খোলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিবিয়ানরা মাঠে নামবে পয়েন্ট পাওয়ার চেষ্টায়। বাংলাদেশের চাওয়া থাকবে আরও ১০ পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়া।