প্রথম ওয়ানডেতে মুস্তাফিজের ২ উইকেটের প্রথমটি ছিল এই ডেলিভারিতেই। ম্যাচের দ্বিতীয় আর নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিই পিচ করে ভেতরে ঢোকে খানিকটা। তাতে এলবিডব্লিউ সুনিল আমব্রিস। পরে আরও কয়েকটি ডেলিভারি ছিল প্রায় এই ধরনের।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মুস্তাফিজের বড় অস্ত্র তার কাটার। আর ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বেরিয়ে যাওয়া বল তার সহজাত ডেলিভারি। সময়ের সঙ্গে তার বোলিং নিয়ে হতাশার বড় কারণ ছিল, কার্যকর নতুন কিছু যোগ করতে না পারা। বিশেষ করে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি না থাকায় তার বোলিং হয়ে পড়েছিল অনেকটাই অনুমিত। চোটের কারণে লম্বা সময় বাইরে থাকতে হওয়ায় এটি রপ্ত করার কাজ করতে পারেননি তিনি। পরে ফিট হওয়ার পরও দেখা যায়নি এখানে উন্নতি।
ওটিস গিবসন বোলিং কোচ হয়ে আসার পর শুরু থেকেই বলে আসছেন, এই ডেলিভারি মুস্তাফিজের অস্ত্র ভাণ্ডারে যোগ করার কথা। কাজ করে আসছেন বলে জানিয়েছেন নানা সময়ে। এবার কাজের ফল পাওয়ার ইঙ্গিত মিলল। এখনই দারুণ কিছু হয়ে যায়নি, নিয়মিত করানোর মতো অবস্থা হয়নি হয়তো। তবে ইঙ্গিতটা শুভ।
এবারই প্রথম অবশ্যই নয়। ২০১৫ সালের জিম্বাবুয়ে সিরিজে, পরে নানা সময় টুকটাক ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য বল ভেতরে আনতে পেরেছেন মুস্তাফিজ। তবে কোনোবারই ঠিক মনে হয়নি, এই ডেলিভারি তার আয়ত্ত হয়েছে। তার কব্জির পজিশন ছিল এটির পথে বড় অন্তরায়।
গিবসন বৃহস্পতিবার দলের অনুশীলন শেষে জানালেন, কব্জির পজিশন নিয়ে কাজ করাতেই এখানে উন্নতির ছাপ মিলছে।
“সে (মুস্তাফিজ) অনেক পরিশ্রম করেছে। তার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও ভালো, বেশ আনন্দদায়ক। আমরা চেষ্টা করছি বল ভেতরে আনার (ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য) জন্য, তার কব্জির পজিশন নিয়ে আমরা নানা কিছু করার চেষ্টা করেছি। সে এর মধ্যেই দেখিয়েছে যে তার কব্জির পজিশন ঠিক জায়গায় থাকলে বল ভেতরের দিকে সুইং করাতে পারে। আশা করি, সে আরও ভালো করবে। এখান থেকে উন্নতি করবে এবং সামনের ম্যাচগুলোয় ভেতরে ঢোকা বল আপনারা আরও দেখতে পারবেন।”