ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সাকিব ম্যাচ সেরা হলেও তার এমন পারফরম্যান্স খুব অপ্রত্যাশিত নয়। সেদিক থেকে বরং এই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তির দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে হয়তো হাসানের বোলিংই।
প্রথম স্পেলে একটু মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে হাসানের। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে তিনি ভাঙেন ক্যারিবিয়ানদের একমাত্র অর্ধশত রানের জুটি। পরের বলেই ধরেন আরেকটি শিকার। হ্যাটট্রিক না হলেও ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে নিজের ছাপ রাখেন প্রবলভাবে।
হাসানকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। মূলত মসৃণ বোলিং অ্যাকশন, সহজাত গতি, স্কিড করানো ও বাড়তি বাউন্স করানোর ক্ষমতা, এসব দিয়েই নজর কাড়েন বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে। ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তার শিকার ছিল ৯ উইকেট।
পরে ঘরোয়া ক্রিকেটে চোখধাঁধানো কিছু না হলেও পারফর্ম করে যান ধারাবাহিকভাবে। ২০১৮ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নেন ১২ উইকেট। ২০১৯ সালে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে উইকেট ছিল ৭টি। ২০১৯-২০ বিপিএলে শিকার ছিল ১০ উইকেট।
প্রথম ম্যাচে ২১ বছর বয়সী পেসারের এমন পারফরম্যান্স অবাক করেনি তার বোলিং কোচকে। বৃহস্পতিবার দলের অনুশীলন শেষে গিবসন বললেন, উন্নতির পথ ধরে এগিয়েই হাসান নিজেকে মেলে ধরেছেন।
“মোটেও বিস্মিত হইনি (হাসানের পারফরম্যান্সে)। এই কারণেই ওকে দলে নেওয়া হয়েছে, ওর উন্নতি আমরা দেখেছি। আমাদের সঙ্গে গত ১২ মাস ধরেই আছে ও। গত বছরের শুরুতে পাকিস্তান গিয়েছিল (টি-টোয়েন্টি দলের হয়ে)। বেশ কিছুদিন ধরেই তাই ও আছে, ওকে আমরা দেখেছি দারুণভাবে উন্নতি করতে। এবার সুযোগ পেয়েছে, অভিষেকে ৩ উইকেট তার কঠোর পরিশ্রমের পুরস্কার।”
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শুক্রবার।