সদ্য সমাপ্ত বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের প্রথম টেস্টে কিপিংয়ের কারণেই পান্তকে বাইরে রেখে ভারত একাদশে নেয় ঋদ্ধিমান সাহাকে। ওই টেস্টে ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয় ও পরে বিরাট কোহলির ছুটির কারণে দলের ব্যাটিং শক্তি বাড়াতে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে নেওয়া হয় পান্তকে।
তরুণ এই কিপার-ব্যাটসম্যান যথারীতি ক্যাচ ছেড়ে দলের ভোগান্তির কারণ হন। কিন্তু শেষ দুই টেস্টে নিজের অন্য রূপও মেলে ধরেন তিনি। সিডনি টেস্টে তার ৯৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস এক পর্যায়ে দারুণ জয়ের স্বপ্ন দেখায় ভারতকে। ওই ম্যাচে না পারলেও ব্রিজবেনে তার ৮৯ রানের অসাধারণ অপরাজিত ইনিংস ঠিকই দলকে এনে দেয় স্মরণীয় জয়।
অস্ট্রেলিয়ায় ৭ টেস্ট খেলে পান্তের ব্যাটিং গড় এখন ৬২.৪০! শুধু এখানেই নয়, আইপিএলেও তার ব্যাটিং দেখেছেন ক্লার্ক। ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বললেন, পান্তের ব্যাটিংয়ে তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি, অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ছায়া দেখেন।
“ আইপিএলে ধারাভাষ্য দেওয়ার সময়ও আমি পান্তকে দেখেছি। সবসময়ই মনে হয়েছে, সে মহাতারকা। আমার মনে হয়, ভারত প্রথম টেস্টে একটু নিরাপদ পথ বেছে নিয়েছিল সেরা কিপারকে দলে নিয়ে।”
“ কিন্তু রিশাভ পান্তের মতো একজনকে খেলাতেই হবে। তাকে নিয়ে এই ঝুঁকি নেওয়াই যায়। হ্যাঁ, একটি-দুটি ক্যাচ সে ছাড়তে পারে, কিন্তু সে টেস্ট সেঞ্চুরিও করতে পারে, বা ডাবল সেঞ্চুরি, ট্রিপল সেঞ্চুরিও করতে পারে। ব্যাট হাতে দলকে ম্যাচ জেতাতে পারে সে। তার ব্যাটিংয়ের ধরনে একজন ধোনি আছে, একজন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট আছে। সত্যিকারের মহাতারকা সে।”