ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ছাড়লেন মালিঙ্গা

বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না লাসিথ মালিঙ্গাকে। সব ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে শ্রীলঙ্কান ফাস্ট বোলার অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছে তার আইপিএল দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2021, 06:01 PM
Updated : 20 Jan 2021, 06:24 PM

আইপিএলের আগামী আসরকে সামনে রেখে ধরে রাখা ক্রিকেটারদের তালিকা জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল বুধবার। মুম্বাই এক বিবৃতিতে ধরে রাখা ক্রিকেটারদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে নেই মালিঙ্গার নাম। তাকে-সহ সাত জনকে ছেড়ে দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এর কয়েক ঘণ্টা পরই তারা আরেকটি বিবৃতিতে জানায় মালিঙ্গার অবসরের কথা। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ছাড়ার এটাই সঠিক সময়, মুম্বাইয়ের পাঠানো বিবৃতিতে বলেছেন ৩৭ বছর বয়সী মালিঙ্গা।

“পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর আমার মনে হয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট থেকে অবসরের এটাই সঠিক সময়। মহামারী পরিস্থিতি ও ভ্রমণে বিধিনিষেধের কারণে আমার পক্ষে আগামী মৌসুমে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলা কঠিন। তাই এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভালো সময়।”

“মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলেছি। তারা আমার কথা বুঝতে পেরেছে এবং আমাকে সমর্থন করেছে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককে এবং দুর্দান্ত ১২টি বছর কাটানোর জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই।”

গোটা আইপিএল ক্যারিয়ারে কেবল মুম্বাইয়ের হয়েই খেলেছেন মালিঙ্গা। দ্বিতীয় আসর থেকে দলটির হয়ে খেলা এই পেসার শুধু ২০১৮ ও ২০২০ সালের আসরে খেলেননি। ২০১৮ সালে ছিলেন তাদের বোলিং পরামর্শকের দায়িত্বে। পরের বছর আবার ২২ গজে ফেরেন বল হাতে, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন দলটির চতুর্থ শিরোপা জয়ে। গত আসরে খেলেননি তিনি ব্যক্তিগত কারণে।

আইপিএলে সব আসর মিলিয়ে টুর্নামেন্টের সফলতম বোলার তিনিই, নিয়েছেন ১৭০ উইকেট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টিও খেলায় মুম্বাইয়ের হয়ে রেকর্ড ১৯৫ উইকেট লঙ্কান এই পেসারের।

আইপিএল ছাড়াও সিপিএলে জ্যামাইকা তালাওয়াস, গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স, বিপিএলে খুলনা টাইটান্স, রংপুর রাইডার্স, বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন স্টার্সের হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন মালিঙ্গা। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ২৯৫ ম্যাচে তার শিকার ৩৯০ উইকেট। তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে কেবল ডোয়াইন ব্রাভোর।

মালিঙ্গা সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন গত বছরের মার্চে, শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। মহামারীর সময়ে কোনো ম্যাচ খেলেননি তিনি।