গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার চতুর্থ দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫৯ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ১১১ রানের ইনিংস খেলেন থিরিমান্নে। ৭১ রান করে থামেন ম্যাথিউস।
৫ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার জ্যাক লিচ। এই স্পিনারের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সৌজন্যে একশ রানের নিচে লক্ষ্য পায় ইংল্যান্ড।
৭৪ রানের ছোট পুঁজি নিয়েও লড়াই করছে শ্রীলঙ্কা। ১৪ রানে তুলে নেয় তিন উইকেট। তবে অভিষিক্ত ড্যান লরেন্সকে নিয়ে দিনের বাকি সময় পার করে দেন জনি বেয়ারস্টো। তাদের ব্যাটে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড। দিন শেষে তাদের রান ৩৮, জিততে প্রয়োজন আরও ৩৬।
ডম সিবলিকে বোল্ড করার পর জ্যাক ক্রলিকে গালিতে ক্যাচে পরিণত করেন বাঁহাতি স্পিনার লাসিথ এম্বুলদেনিয়া। প্রথম ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান জো রুট ফেরেন রান আউট হয়ে।
২ উইকেটে ১৫৬ রান নিয়ে দিনের ব্যাটিং শুরু করে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় তারা। শূন্য রানে নাইটওয়াচম্যান এম্বুলদেনিয়াকে ফিরিয়ে দেন ডম বেস।
ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন থিরিমান্নে ও ম্যাথিউস। ২২৭ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি থিরিমান্নে। ১২ চারে ১১১ রান করা এই ওপেনার স্যাম কারানের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।
দিনেশ চান্দিমাল ও ম্যাথিউসের জুটিও দীর্ঘ হয়নি। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ককে ২০ রানেই ফিরিয়ে দেন বেস।
থিতু হয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি নিরোশান ডিকভেলা। ৭৪ বলে ২৯ রান করে বেসের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে বিদায় নেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
দাসুন শানাকা ও ভানিদু হাসারাঙ্গাকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন লিচ। ম্যাথিউসকে সঙ্গ দিয়ে দারুণ খেলতে থাকা দিলরুয়ান পেরেরাকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন ইংলিশ এই স্পিনার।
১৬৪ বলে ক্যারিয়ারের ৩৬তম টেস্ট ফিফটি করা ম্যাথিউস আউট হন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে। ২১৯ বলে ৪ চারে ৭১ রান করে লিচের বলে ধরা পড়েন স্লিপে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৩৫
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৪২১
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: (আগের দিন শেষে ১৫৬/২) ১৩৬.৫ ওভারে ৩৫৯ (থিরিমান্নে ১১১, এম্বুলদেনিয়া ০, ম্যাথিউস ৭১, চান্দিমাল ২০, ডিকভেলা ২৯, শানাকা ৪, হাসারাঙ্গা ১২, দিলরুয়ান পেরেরা ২৪, ফার্নান্দো ০*; ব্রড ১৭-১১-১৪-০, কারান ১১-১-৩৭-২, বেস ৩৩-৪-১০০-৩, উড ২১-৫-৪৯-০, লিচ ৪১.৫-৬-১২২-৫, রুট ১১-১-১৯-০, লরেন্স ২-০-১০-০)।
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৭৪) ৬ ওভারে ৩৮/৩ (ক্রলি ৮, সিবলি ২, রুট ১, বেয়ারস্টো ১১*, লরেন্স ৭*; এম্বুলদেনিয়া ৮-৩-১৩-২, দিলরুয়ান পেরেরা ৭-১-১৬-০)।