জেসন হোল্ডারের চোটের কারণে সবশেষ বাংলাদেশ সফরেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ব্র্যাথওয়েট। নিয়মিত অধিনায়ক না থাকলেও সেবার ছিল দলের নিয়মিত ক্রিকেটারদের প্রায় সবাই। তবু হোয়াইটওয়াশড হয়েছিল ক্যারিবিয়ানরা। এবার হোল্ডারের সঙ্গে নেই শীর্ষ আরও গোটা দশেক ক্রিকেটার। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে এই দলের অপেক্ষায় তাই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
দলে অনভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ছড়াছড়ি থাকলেও ব্র্যাথওয়েট বুধবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বললেন, এই নবীনদের ওপর তার আস্থা অগাধ। দেশের মাটিতে বাংলাদেশকে সমীহ যদিও তিনি করছেন অনেক। পাশাপাশি আঁকছেন নিজেদের জয়ের ছবি।
“আমার মনে হয়, এখানে ভালো একটি দল আছে আমাদের। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করার সামর্থ্য এই দলের আছে। এখানে যে দল আছে, তাদের আমি খর্বশক্তির মনে করি না। তাদের সামর্থ্য আছে ভালো করার এবং আমি জানি তারা সুযোগটি নিতে মুখিয়ে আছে।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, জয়ের ক্ষুধা ও তারুণ্যের তাড়না দিয়ে তারা বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাকে পেছনে ফেলতে চান। কোচের সঙ্গে কণ্ঠ মেলালেন টেস্ট অধিনায়কও।
“এখানে আসা ছেলেরা খুব ক্ষুধার্ত। সাফল্য পেতে যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত তারা। ব্যাটে-বলে ভালো কিছু করে দলকে জেতাতে চায় তারা। আমি দেখতে পাচ্ছি, ছেলেরা এই সুযোগ লুফে নেবে। মাঠে নামতে ওরা মুখিয়ে আছে। ক্রিকেট বিশ্বকে তারা দেখিয়ে দিতে চায়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে তারা ভালো করতে পারে।”
ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হলেও নেতৃত্ব ব্র্যাথওয়েটের জন্য নতুন কিছু নয়। নানা সময়ে হোল্ডারের চোট-অনুপস্থিতিতে ৫টি টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া হয়ে গেছে তার। ২০১৭ সালে নিউ জিল্যান্ডে ১ টেস্ট, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ২টি, ভারতে ১টি ও ২০১৯ সালে দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১টি। সাফল্যের ঝুলি এখনও ফাঁকা। হারের স্বাদ পেতে হয়েছে প্রতিটিতেই।
অধরা জয়ের দেখা এবার তিনি পেতে চান। তবে সেই ভাবনায় বুঁদ হতে চান না তিনি, এগোতে চান প্রক্রিয়া মেনে।
“দলকে নেতৃত্ব দিতে নামলে অবশ্যই চাওয়া থাকে জয়। এখানে আমার ভূমিকা হবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, সেটা অধিনায়ক হিসেবে যেমন, ওপেনার হিসেবেও। জিততে পারলে অবশ্যই দারুণ হবে। তবে খুব বেশি দূর ভাবা যাবে না আমাদের। একটি পরিকল্পনা করে ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে ফল আপনাআপনি ঠিক হবে।”
“অবশ্যই প্রথম জয়টি পেতে মুখিয়ে আছি। তবে সেখানে পৌঁছানোর ধাপ আছে। সেগুলো ধরে এগিয়ে যেতে হবে। আমার বিশ্বাস, এই দল সেটা পারবে।”
ব্র্যাথওয়েটের দলের পরীক্ষা শুরু হতে অবশ্য সময় আছে এখনও অনেক। আগে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে দুই দল, যা শুরু আগামী বুধবার। টেস্ট সিরিজ শুরু ৩ ফেব্রুয়ারি। টেস্টের আগে চট্টগ্রামে তিন দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন ব্র্যাথওয়েটরা।