এলগারের সেঞ্চুরির পর বিশ্ব ফার্নান্দোর ৫ উইকেট

প্রত্যাশিত সেঞ্চুরি ঠিকই তুলে নিলেন ডিন এলগার। কিন্তু এরপর আর বড় করতে পারলেন না ইনিংস। ফিফটির পর বিদায় নিলেন রাসি ফন ডার ডাসেনও। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নামান বিশ্ব ফার্নান্দো।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Jan 2021, 04:26 PM
Updated : 4 Jan 2021, 04:26 PM

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ধসে দ্রুত ৪ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে টানছেন অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে।

জোহানেসবার্গে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩০২ রানে থামিয়ে ব্যাটিং করছে শ্রীলঙ্কা। করুনারত্নের অপরাজিত ৯১ রানে সফরকারীদের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৫০। নিরোশান ডিকভেলা উইকেটে ১৮ রান নিয়ে।

ছন্দে থাকা এলগারের ১২৭ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে শেষে ১৪৫ রানে এগিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ফন ডার ডাসেন করেন ৬৭।

ক্যারিয়ারে ত্রয়োদশ সেঞ্চুরি করেছেন ডিন এলগার। ছবি: আইসিসি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে দিনের দ্বিতীয় সেশনে গুটিয়ে দেওয়ার পেছনের মূল কারিগর বিশ্ব ফার্নান্দো ১০১ রানে নেন ৫ উইকেট। লঙ্কান এই পেসার টেস্টে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পেলেন পাঁচ উইকেটের স্বাদ।

৯২ রান নিয়ে দিন শুরু করা এলগার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যান দিনের পঞ্চম ওভারে। বিশ্ব ফার্নান্দোকে চার মেরে ১৩৩ বলে ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরিতে পা রাখেন তিনি।

পরের ওভারেই আসিথা ফার্নান্দোকে চার মেরে ফিফটি তুলে নেন ফন ডার ডাসেন। ৯৮ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি করেন আগের দিন ৪০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটসম্যান।

এই দুইজনের ব্যাটে এরপর আরও কয়েকটি ওভার কাটিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় দিনেও ভালো কিছুর আভাস দেওয়া এই জুটি ভাঙেন দুশমন্থ চামিরা। তার বলে প্রথম স্লিপে এলগার ধরা পড়লে ভাঙে ১৮৪ রানের জুটি। ১৬৩ বল খেলা এই ওপেনারের ইনিংসে চার ২২টি।

রিভিউ নিয়ে ফন ডার ডাসেনকে থামানোর পর ফাফ দু প্লেসিকে দ্রুত বিদায় করেন দাসুন শানাকা। এরপরই বিশ্ব ফার্নান্দোর বোলিংয়ে পুড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিক অধিনায়ক কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়ে শিকার শুরু করেন তিনি।

একে একে কেশব মহারাজ, টেম্বা বাভুমা, আনরিক নরকিয়া ও লুথো সিপামলাকে বিদায় করেন ২৯ বছর বয়সী এই পেসার। ৮৪ রানে শেষ ৯ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।  

ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৫ উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নামান বিশ্ব ফার্নান্দো। ছবি: আইসিসি

বোলিংয়ের সাফল্য মিলিয়ে যেতে বসেছিল ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। তৃতীয় ওভারেই প্রথম ইনিংসে একমাত্র ফিফটি করা কুসল পেরেরাকে হারায় তারা। লুঙ্গি এনগিডি বোল্ড করে দেন এই ওপেনারকে।

এরপর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে। ৭৩ বলে ২৫তম ফিফটি তুলে নেন করুনারত্নে।

দুইজনের ৮৫ রানের জুটি ভাঙেন এনগিডিই। ৩১ করা থিরিমান্নে ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে ডি ককের হাতে। পরের বলেই কুসল মেন্ডিসকে ফেরান তিনি। টানা তিন ইনিংসে রান করতে পারেননি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

অভিষিক্ত মিনোদ ভানুকাকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি আগের ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া নরকিয়া।

১০৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা শ্রীলঙ্কার হাল ধরেন ডিকভেলা ও করুনারত্নে। অবিচ্ছিন্ন ৪১ রানের জুটিতে দিনের বাকি সময় বিপদ ছাড়াই কাটিয়ে দেন তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৫৭

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস:  (আগের দিন ১৪৮/১) ৭৫.৪ ওভারে ৩০২ (এলগার ১২৭, ফন ডার ডাসেন ৬৭, দু প্লেসি ৮, ডি কক ১০, বাভুমা ১৯, মুল্ডার ৭, মহারাজ ২, নরকিয়া ১৩, সিপামলা ৫, এনগিডি ১৪*; বিশ্ব ফার্নান্দো ২৩.৪-০-১০১-৫, আসিথা ফার্নান্দো ১৯-৫-৬১-২, চামিরা ১৪-১-৫৩-১, শানাকা ১৫-৩-৪২-২, হাসারাঙ্গা ৪-০-২৩-০)

শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৩৯ ওভারে ১৫০/৪ (করুনারত্নে ৯১*, পেরেরা ১, থিরিমান্নে ৩১, মেন্ডিস ০, ভানুকা ১, ডিকভেলা ১৮*; এনগিডি ৯-৩-২৬-৩, নরকিয়া ১১-১-৪১-১, মুল্ডার ১১-২-৪৩-০, সিপামলা ৮-১-৩৪-০)