যদিও এটি কেবলই প্রাথমিক দল, তারপরও এই দুজনকে নিয়ে কৌতূহলের জায়গা সংস্করণটি ওয়ানডে বলেই। সম্প্রতি দুজনই ভালো করেছেন টি-টোয়েন্টিতে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন ১৮ বছর বয়সী পারভেজ। ভয়ডরহীন মানসিকতা ও বড় শট খেলার সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন আরও কয়েকটি ম্যাচে।
শরিফুল এই টুর্নামেন্টে নেন ১৬ উইকেট। ১৯ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার টুর্নামেন্টে নজর কাড়েন গতি-বাউন্স ও আগ্রাসী মানসিকতা দিয়ে।
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দুজনই ৫০ ওভারের সংস্করণ খেলেছেন বেশি। গত বছর যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন দুজন। তবে এই পর্যায়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য বিশাল।
শরিফুল অবশ্য যুব বিশ্বকাপের আগেই বাংলাদেশ ‘এ’ দল, ইমাজিং দলে খেলেছেন। তাকে প্রক্রিয়ায় রাখা ও গড়ে তোলা হচ্ছে বেশ কিছুদিন ধরেই। পারভেজের জায়গা পাওয়াই তাই বেশি বিস্ময়কর।
দল ঘোষণার পর সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচক হাবিবুল বাশার ব্যাখ্যা করলেন এই দুজনকে দলে রাখার কারণ।
“ইমন আমার দেখা রোমাঞ্চকর প্রতিভা। ওকে আমরা সুযোগ দিচ্ছি যাতে আরও দ্রুত প্রস্তুত করা যায়। ভবিষ্যতে যেন ওকে আমরা কাজে লাগাতে পারি। আমরা যে দুটো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলব ১৪ ও ১৬ জানুয়ারি (নিজেদের মধ্যে), সেখানেও আমাদের দল গঠন করতে হবে। এই ছেলেদের আমরা সুযোগ দিচ্ছি যাতে এদের সাথে খেলে ওরা নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে।”
“শরিফুল বেশ কবছর ধরে ভালো খেলছে। এমনকি শরিফুল কিন্তু আমাদের ‘এ’ দলেও খেলে এসেছে দুই বছর আগে। ও আমাদের পাইপলাইনে আছে অনেকদিন ধরে, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আগে থেকেই।”
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানালেন, লাল ও সাদা বলে আলাদা দল গড়া, ক্রিকেটারদের পুল বড় করার ভাবনাও রাখা হয়েছে তরুণদের দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে।
“এইচপিতে যে খেলোয়াড়রা আছে, ওদেরকে আমরা যে জায়গায় চিন্তা-ভাবনা করছিলাম লাল বল, সাদা বলে আলাদা ভাবে গড়ে তোলার জন্য, ঠিক ওভাবেই কিন্তু আমরা গড়ে তুলছি। কিছু খেলোয়াড় যথেষ্ট নজর কেড়েছে। আমার বিশ্বাস, এই পাইপলাইন থেকে আমরা ভালো কিছু খেলোয়াড় পাব। সামনে আয়ারল্যান্ড আসছে। আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল, এইচপি দলের খেলা হবে। আশা করি, তখন কিছু খেলোয়াড়কে লাল বল, সাদা বলে আলাদা ভাবে তৈরি করব।”