মেয়েদের ক্রিকেটে আইসিসির দশকসেরার পুরস্কারে দাপট দেখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার এলিস পেরি। দশকসেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘র্যাচেল হেইহাউ-ফ্লিন্ট অ্যাওয়ার্ড’ জেতার পাশাপাশি দশকসেরা ওয়ানডে ও দশকসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
Published : 28 Dec 2020, 05:07 PM
আইসিসি সোমবার বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে।
২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনা করে মেয়েদের প্রতিটি বিভাগে ছয় জনের মনোনয়নের তালিকা গত মাসে প্রকাশ করেছিল আইসিসি। এরপর দর্শক ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের ভোটে নির্বাচিত হন সেরা।
দশকসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিততে পেরি পেছনে ফেলেন স্বদেশী মেগ ল্যানিং, নিউ জিল্যান্ডের সুজি বেটস, ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্টেফানি টেইলর, ভারতের মিতালি রাজ ও ইংল্যান্ডের সারাহ টেইলরকে।
দশকসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হওয়ার লড়াইয়ে পেরির সঙ্গে ছিলেন ল্যানিং, সুজি বেটস, স্টেফানি টেইলর, মিতালি ও ঝুলন গোস্বামি। পেরির সঙ্গে টি-টোয়েন্টি দশকসেরার মনোনয়ন পেয়েছিলেন স্বদেশী ল্যানিং, অ্যালিসা হিলি, নিউ জিল্যান্ডের সোফি ডিভাইন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিয়াড্রা ডটিন ও ইংল্যান্ডের আনা শ্রাবসোল।
বিবেচিত সময়ে পেরি তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৭৯ ম্যাচে করেছেন ৪ হাজার ৩৪৯ রান। উইকেট নিয়েছেন ২১৩টি, যা যেকোনো বোলারের সর্বোচ্চ।
নারী ক্রিকেটে আইসিসির দশকসেরা ক্রিকেটার এলিস পেরি। ছবি আইসিসি
৭৩ ওয়ানডেতে ৬৮.৯৭ গড়ে তার রান ২ হাজার ৬২১। সেঞ্চুরি দুটি। উইকেট ৯৮টি। ইনিংসে পাঁচ উইকেট দুবার। আর ১০০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চার ফিফটিতে করেছেন ১ হাজার ১৫৫ রান। উইকেট নিয়েছেন ৮৯টি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০১৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা পেরি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন ২০১২, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২০ সালে। ২০১৭ ও ২০১৯ সালে জিতেছিলেন মেয়েদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার।
এবার নারী ক্রিকেটে আইসিসির দশকসেরা ওয়ানডে ও দশকসেরা টি-টোয়েন্টি দলেও জায়গা পেয়েছেন ৩০ বছর বয়সী পেরি।