দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টেরপ্রথম দিন শেষে মাউন্ট মঙ্গানুইতে উইলিয়ামসন অপরাজিত ২৪৩ বলে ৯৪ রান করে। পাকিস্তানশুরুটা দারুণ করলেও অধিনায়কের সৌজন্যে নিউ জিল্যান্ডের রান প্রথম দিনে ৮৭ ওভারে ৩ উইকেটে২২২।
দুই দফায় জীবন পেয়েছেন উইলিয়ামসন,শাহিন শাহ আফ্রিদির তোপ ও পাকিস্তানী পেসারদের দারুণ সব ডেলিভারি সামলেছেন। হাল ছাড়েননিলড়াইয়ে। তার দলও তাই গড়ে ফেলেছে বড় স্কোরের ভিত।
নিজের আগের টেস্টেই ক্যারিবিয়ানদেরবিপক্ষে হ্যামিল্টনে সবুজ উইকেটে ২৫১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন উইলিয়ামসন।
দিনের শুরুটা ছিল পাকিস্তানের। টসজিতে বোলিংয়ে নামে তারা। আফ্রিদির করা ম্যাচের প্রথম বলে ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারিপান টম ল্যাথাম। এক বল পরই আবার ল্যাথামের ব্যাটের কানায় লেগে বল আশ্রয় নেয় তৃতীয় স্লিপে।
শুরুর সাফল্যের পর আরেক ওপেনার টমব্লান্ডেলকেও ফেরান বাঁহাতি পেসার আফ্রিদি। একাদশ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের রান তখন ২উইকেটে ১৩।
১২০ রানের জুটির পথে টেইলর করেছেন ৭০। ছবি : নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের টুইটার।
টেইলর ফিফটি স্পর্শ করেন ১২৭ বলে,উইলিয়ামসন ১৫০ বলে। লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ আক্রমণে আসার পর দুজনই রানের গতি একটু বাড়ান।ফিফটির পর ইয়াসিরকে টানা দুই বলে চার-ছক্কা মারেন টেইলর, ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে ছক্কা মারেনউইলিয়ামসন।
১২০ রানের এই জুটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেনসেই আফ্রিদিই। দারুণ এক ডেলিভারিতে টেইলর ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে পাকিস্তানের এই টেস্টেরঅধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। ১৫১ বলে টেইলর করেন ৭০ রান।
এরপর হেনরি নিকোলসকে সঙ্গী করে উইলিয়ামসনচালিয়ে যান লড়াই। এখানেও যথারীতি পাকিস্তানি ফিল্ডারদের পাশে পান তারা। নিকোলস ৬ রানেইনাসিমের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন, নিতে পারেননি মোহাম্মদ আব্বাস। দিনের শেষ ভাগে উইলিয়ামসনআবার জীবন পান ৮৬ রানে। এবার আফ্রিদির বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ ছাড়েন হারিস সোহেল।
দ্বিতীয় নতুন বল নিয়ে পাকিস্তানপারেনি এই জুটিতে ভাঙন ধরাতে। মাথা উঁচু করেই মাঠ ছাড়েন উইলিয়ামসন ও নিকোলস। দুজনেরঅবিচ্ছন্ন জুটির রান ৮৯।
আদর্শ কন্ডিশনে আফ্রিদির পাশাপাশিদারুণ বোলিং করেন মোহাম্মদ আব্বাসও। তবে এই সুইং বোলারকে সাবধানে খেলে পার করে দেনউইলিয়ামসনরা। তার ২১ ওভারে রান এসেছে মোটে ২৫, মেডেন ১১টি। কিন্ত উইকেট পাননি। কিউইরাসফল সেখানেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৮৭ ওভারে২২২/৩ (ল্যাথাম ৪, ব্লান্ডেল ৫, উইলিয়ামসন ৯৪*, টেইলর ৭০, নিকোলস ৪২*; আফ্রিদি ২০-৫-৫৫-৩,আব্বাস ২১-১১-২৫-০, ফাহিম ১৩-৫-৩০-০, নাসিম ১৫-১-৫১-০, ইয়াসির ১৬-২-৫৬-০, মাসুদ ২-১-২-০)।