৩৬ রানেই শেষ ভারত

গোলাপি বলে জশ হেইজেলউড ও প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ভারত। টেস্টে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৩৬ রানে গুটিয়ে গেছে বিরাট কোহলির দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Dec 2020, 06:29 AM
Updated : 19 Dec 2020, 12:24 PM

প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে ৯০ রানের লক্ষ্য।

অ্যাডিলেইড ওভালে ১ ওভারে ৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা ভারত এলোমেলো হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের নিখুঁত লাইন-লেংথের বোলিংয়ে।

সফরকারীদের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে, সর্বোচ্চ ৯ রান আসে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাট থেকে। শুরুতে ছোবল দেন কামিন্স। তার বেঁধে দেওয়া সুরে সঙ্গত করেন হেইজেলউড। লেজটুকু দ্রুত ছেটে দেন তিনিই। তার বোলিং ফিগার ৫-৩-৮-৫।

মাত্র ঘণ্টা খানেক টিকতে পেরেছে সফরকারীরা। দিনের দ্বিতীয় ওভারে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে নাইটওয়াচম্যান জাসপ্রিত বুমরাহকে থামান কামিন্স। ওই ১৫ রানেই এরপর ফিরে যান চেতেশ্বর পুজারা, আগারওয়াল ও অজিঙ্কা রাহানে।

শূন্য রানে পুজারাকে কট বিহাইন্ড করেন কামিন্স। হেইজেলউডের বলে কিপারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন আগারওয়াল ও রাহানে।

১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দলটি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ভারত তাকিয়ে ছিল অধিনায়ক বিরাট কোহলির দিকে। তিনিও পারেননি দলকে টানতে। কামিন্সের বলে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে ক্যামেরন গ্রিনকে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার অস্ট্রেলিয়া সফর।

দলের বিপদে হাল ধরতে পারেননি হনুমা বিহারী, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দ্রন অশ্বিনরা। আগুনে বোলিং করা হেইজেলউড ফেরান তাদের তিন জনকেই। মাত্র ৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তিনিই অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার। অষ্টমবার টেস্টে পেলেন পাঁচ উইকেট। কামিন্স ৪ উইকেট নেন ২১ রানে।

চোট পেয়ে শেষ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শামি মাঠ ছাড়ার সময় ভারতের স্কোর কেবল ৩৬। টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে কম রান আছে কেবল চারটি।

এই সংস্করণে ভারতের আগের সর্বনিম্ন ছিল ৪২। ‌১৯৭৪ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ড তাদের গুটিয়ে দিয়েছিল কেবল ১৭ ওভারে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত ১ম ইনিংস: ২৪৪

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১৯১

ভারত ২য় ইনিংস: (আগের দিন শেষে ৯/১) ২১.২ ওভারে ৩৬ (আগাওয়াল ৯, বুমরাহ ২, পুজারা ০, কোহলি ৪, রাহানে ০, বিহারী ৮, ঋদ্ধিমান ৪, অশ্বিন ০, উমেশ ৪, শামি ১ আহত অবসর; স্টার্ক ৬-৩-৭-০, কামিন্স ১০.২-৪-২১-৪, হেইজেলউড ৫-৩-৮-৫)