বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে শুক্রবার মাহমুদউল্লাহ খেলেন ৪৮ বলে ৭০ রানের ইনিংস। ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারানো দল দেড়শ ছাড়াতে পারে অধিনায়কের সৌজন্যেই। এমনকি ইনিংসের শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে দুটি চার ও একটি ছক্কা। ওই রানগুলো শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত হয় মহামূল্য। খুলনা জেতে ৫ রানে।
ম্যাচ সেরার লড়াইয়ে মাহমুদউল্লাহর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না তেমন কেউ।
টুর্নামেন্ট সেরার জন্য যেমন মুস্তাফিজের চেয়ে যোগ্য ছিলেন না আর কেউ। প্রতিটি ম্যাচে তিনি নিয়েছেন উইকেট। ম্যাচের পর ম্যাচ মাঠে ছিলেন দলের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে।
আসরের বেশির ভাগ ম্যাচে উইকেট ছিল বেশ মন্থর, গ্রিপ করেছে। মুস্তাফিজের জন্য যা আদর্শ। তিনি তা কাজে লাগান দারুণভাবে। এমনকি যে উইকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য ছিল সহায়তা, সেখানেও তিনি ছিলেন যথেষ্ট কার্যকর।
১০ ম্যাচে তার উইকেট ২২টি। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৬.২৫। গড় ১১.০৪, স্ট্রাইক রেট ১০.৫। সবগুলি সংখ্যাই চোখধাঁধানো।
টুর্নামেন্ট সেরা হয়ে মুস্তাফিজ পেয়েছেন ৩ লাখ টাকা। সঙ্গে টুর্নামেন্টের সেরা বোলার হিসেবে পেয়েছেন আরও ২ লাখ টাকা।
টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যানের পুরস্কার পেয়েছেন লিটন দাস। ১০ ম্যাচে ৩৯৩ রান এসেছে স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে। গড় ৪৯.১২, স্ট্রাইক রেট ১১৯.৪৫। তার প্রাপ্তি ২ লাখ টাকা।
ম্যান অব দা ফাইনাল হয়ে মাহমুদউল্লাহ পেয়েছেন ১ লাখ টাকা।
এছাড়াও স্পেশাল পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, পারভেজ হোসেন ইমন, রবিউল ইসলাম রবি ও শরিফুল ইসলাম।