টেস্ট ক্রিকেটে শুরু থেকেই খেলা হয়ে আসছে লাল বলে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও লাল বলেই খেলা হতো একসময়। তবে রঙিন পোশাক আসার পর সীমিত ওভারে ব্যবহার করা হয় সাদা বল।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দিন-রাতের ম্যাচ শুরুর সময় মূল ঝামেলা হয়ে যায় বল নিয়ে। রাতের বেলা কৃত্রিম আলোয় লাল বল দেখা কঠিন। হলুদ বল, গোলাপি বল নিয়ে পরীক্ষামূলক খেলা হয়। অনেক আলোচনা, গবেষণার পর গোলাপি বলই চূড়ান্ত হয়। দিন-রাতের টেস্টে এই বলই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
অস্ট্রেলিয়া-ভারত টেস্টের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার দারুণ লড়াই হয়েছে গোলাপি বলে। পেসাররা পেয়েছেন মুভমেন্ট, স্পিন বোলিংয়ের জন্যও ছিল সহায়তা।
ফক্স ক্রিকেটে ওয়ার্ন বললেন, ক্রিকেটার-দর্শক, সবার জন্যই গোলাপি বল দারুণ।
“ গত কয়েক বছর ধরেই এটা বলে আসছি। আমার মতে, সব টেস্টেই গোলাপি বল ব্যবহার করা উচিত। শুধু দিবা-রাত্রির টেস্টে নয়, দিনের টেস্টেও।”
“ গোলাপি বল মাঠে ক্রিকেটাররা সহজে দেখতে পারে, দর্শকরাও সহজে দেখতে পারে। লাল বলের চেয়ে এটা মুভ করে বেশি এবং টিভিতেও দারুণ দেখায়। তাহলে সব টেস্টে গোলাপি বলে খেলা হবে না কেন?”
গোলাপি বল নিয়ে একটা বড় অভিযোগ, খুব বেশি সময় শক্ত থাকে না এটি। টেস্টে ৮০ ওভার পর নতুন বল নেওয়া যায়। গোলাপি বল অনেক সময় ৮০ ওভারের আগেই বেশ নরম হয়ে যায়। এই সমস্যারও একটি সমাধান ওয়ার্ন দিয়েছেন।
“ বল যেহেতু নরম হয়ে যায়, ৬০ ওভার পর নতুন বল নেওয়ার নিয়ম করা যেতে পারে। কিন্তু সব টেস্টেই আমি গোলাপি বল চাই। লাল বল আর চাই না। কারণ এটি সুইং করে না, সিম করে না, কিছুই করে না। ২৫ ওভারের পর নরম হয়ে যায়।”
“অনেক দিন ধরেই লাল বলের অবস্থা বাজে। ইংল্যান্ডের ডিউক বল ছাড়া আর সব লাল বল ফালতু। লাল বলের যে অবস্থা, গোলাপি বল নিশ্চয়ই এটির চেয়ে খারাপ হবে না! তো গোলাপি বলেই সব টেস্টে খেলা হোক।”