হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ার্স ড্রাফটে ছিল না মাশরাফির নাম। তখনই বলা হয়েছিল, টুর্নামেন্ট চলার সময় তিনি ফিট হয়ে উঠলে তাকে দলে নেওয়ার সুযোগ থাকবে। পরে ফিট হয়ে বিসিবির ফিটনেস পরীক্ষায় উতরে যান অভিজ্ঞ এই পেসার। চারটি দল তাকে নিতে আগ্রহ দেখানোর পর লটারিতে তাকে পায় খুলনা।
কেন তাকে নিতে কাড়াকাড়ি, সেটি এর মধ্যেই দেখিয়েছেন মাশরাফি। দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস পর মাঠে ফিরেও প্রথম দুই ম্যাচে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে উইকেট নেন একটি করে। পরে প্রথম কোয়ালিফায়ারে তিনিই জয়ের মূল নায়ক, টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট নিয়ে ফাইনালে তোলেন খুলনাকে।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে শুক্রবারের ফাইনালে যথারীতি নজর থাকবে মাশরাফির ওপর। মাহমুদউল্লাহ বৃহস্পতিবার দলের অনুশীলন শেষে বললেন, তার ও দলের বড় ভরসার জায়গা মাশরাফি।
“কোনো সন্দেহ নেই, মাশরাফি ভাইয়ের অন্তর্ভুক্তি খুবই ইতিবাচক একটা দিক আমাদের দলের জন্য। ড্রেসিংরুম এবং বাইরেও আমরা অনেক আলাপ আলোচনা করি, কারণ তিনি দারুণ অভিজ্ঞ। উনার অভিজ্ঞতার কিছুটা আমরা যদি ভাগাভাগি করতে পারি, এমনকি আমার জন্যও অনেকটা সহায়ক হয়।”
“এসব কারণে আমি সবসময় মাশরাফি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি, অনেক আইডিয়া নেওয়ার চেষ্টা করি। তিনি আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। চারটা বিপিএল ট্রফি উনার নেতৃত্বে, চারটা ফাইনাল খেলেছেন। উনার অভিজ্ঞতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। যেটা আমাদের দলের জন্য অনেক লাভজনক হয়েছে। আমরা এজন্য ভাগ্যবান।”