কোচদের পারিশ্রমিকে ‘লজ্জিত’ সালাউদ্দিন

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দলগুলির কোচদের পারিশ্রমিক নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। দেশের কোচদের আরও মূল্যায়ন করার অনুরোধ করলেন দেশের সেরা কোচদের একজন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Dec 2020, 10:05 AM
Updated : 17 Dec 2020, 05:10 PM

সালাউদ্দিন নিজে এই টুর্নামেন্টে আলাদা করে কোনো পারিশ্রমিক পাচ্ছেন না। গাজী গ্রুপে নিয়মিত চাকরির অংশ হিসেবেই তাদের বিপিএল দল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দল, একাডেমি দেখভাল করেন তিনি। এই আসরেও গাজী গ্রুপের দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব তার। কিন্তু অন্য কোচদের পারিশ্রমিক দীনতা স্পর্শ করেছে তাকেও।

টুর্নামেন্টের ফাইনালের আগের দিন মিরপুর একাডেমি মাঠে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পারিশ্রমিক নিয়ে তার ভাবনা জানালেন ঘরোয়া ক্রিকেটের দারুণ সফল এই কোচ।

“আমি এখানে কোনো পারিশ্রমিক নিচ্ছি না, গাজী গ্রুপে আমি জব করি। তবে অন্য কোচদের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে আমি খুব লজ্জিত। সারাজীবনই চেয়েছি বাংলাদেশে যেন কোচরা উঠে আসে, আরও বেশি সাবেক ক্রিকেটার যেন কোচিং করাতে আসে। তারা যেন একটা ভালো মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, এ ধরনের পারিশ্রমিকে কখনই কোনো ছেলেকে বলব না, ‘তোমরা কোচিংয়ে আসো।‘”

পারিশ্রমিক নিয়ে ও কোচদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশের কোচদের অভিযোগ-অভিমান বহু বছরের। ঘরোয়া ক্রিকেটে তো বটেই, এমনকি জাতীয় দলে নানা ভুমিকায় যখন তাদের নেওয়া হয় কিংবা নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়, পারিশ্রমিক বেশির ভাগ সময়ই তুলনামূলক অনেক কম থাকে বলে তারা অভিযোগ করেন।

এবারের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতেও সেটির নমুনা কিছুটা দেখা গেছে। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিকে সবচেয়ে নিচের গ্রেডের (ডি গ্রেড) ক্রিকেটাররা পাচ্ছেন ৪ লাখ টাকা করে। দলগুলির প্রধান কোচদের পারিশ্রমিক ঠিক করা হয়েছে ৩ লাখ টাকা।

পারিশ্রমিকের এই অঙ্ক, কোচদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আক্ষেপ ঝরল সালাউদ্দিনের কণ্ঠে।

“এদেশে কোচদের মূল্যায়ন হয় কি না ,আমি জানি না। দেখেন, আমরা ‘ই’ গ্রেডের মানুষ। ‘ডি’ গ্রেডের একটা খেলোয়াড় যা পাচ্ছে, একটা কোচ সেটাও পাচ্ছে না। তাহলে কেন আমি আরেকটা কোচকে বলব এই পেশায় আসতে? আমরা ‘ই’ গ্রেডের মানুষ, সহকারী কোচরা হয়তো ‘এফ’ গ্রেডের, ট্রেনাররা ‘জি’, ‘এইচ’ বা এরকম গ্রেডের আর কী।”

“আমার মনে হয় সঠিক মূল্যায়ন করা উচিত। কোচদের মূল্যায়ন না করা মানে হচ্ছে, দলের ওপর আমাদের কোনো প্রভাব নেই। আমরা আসলে আছি, শুধু একটা ম্যাচ চালিয়ে দিব, একটা টুর্নামেন্ট চালিয়ে দিব। এর বাইরে আমাদের আর কিছু করার নাই।”